মো: ফারুক ,পেকুয়া :

পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আবাতিঘোনা এলাকায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ জনগনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। সোমবার (৭ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনাকে পুঁজি করে বারবাকিয়া ইউপির এক সদস্য নিরহ লোকদের আসামী করার জন্য থানায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন।

আবাতিঘোনা এলাকার বাসিন্দা আবদু রহিম, করিমদাদ জানিয়েছেন, টইটংয় আর বারবাকিয়ার সীমান্ত এলাকা হচ্ছে আবাতিঘোনা। এ এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করছে বারবাকিয়ার ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। তার বাহিনী নিয়ে পাহাড়ে গাছ কর্তন, সরকারী ভূমি জবর দখল করতে প্রতিদিন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ বিষয়কে পুঁজি করে নিরহ লোকদের আসামী করে বসতবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য করে। পরে তিনি ওই জমি জবর দখল করে। বিগত কিছুদিন আগে আমাদের দীর্ঘ ৩০ বছরের বসতবাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও ৫/৬জনকে গুরুতর আহত করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে। ফাঁকা গুলি বর্ষণ যখন হচ্ছে আমরা তখন পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে আত্বীয় মনুয়ারাকে নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এখন শুনতেছি ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনায় আমাদেরকে জড়িয়ে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করলে আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে। জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১২/১৩টি মামলা চলমান থাকলেও প্রশাসনের নাগের ডগায় ঘুরে বেড়ায়।

টইটং ধনিয়াকাটার আজগর আলী বলেন, জাহাঙ্গীর আলম একজন দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তাকে সবাই বনের রাজা হিসাবে যানে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের কার্যালয়, ডিআইজি, মহা বনসংরক্ষক, এসপিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা গুলি বর্ষণ তার জন্য নিয়মিত। রাতে সে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে নিরহ লোকদের আসামী করার জন্য এনতাহারু নামের মহিলাকে ভাড়া করেছে। তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে।

টইটং ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, বনের রাজা জাহাঙ্গীর আলমের অত্যাচারে টইটং আবাতিঘোনা ও বারবাকিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলের লোকজন অতিষ্ট। তার হাত থেকে আমরা পর্যন্ত রেহায় পায়নি। নিরহ লোকদের বসতবাড়ি কেড়ে নেওয়া ও মামলার আসামী করা সামান্য ব্যাপার। প্রশাসনের কাছে জোর দাবী তাকে আইনের আওতায় আনা হউক।