সংবাদদাতা :
কক্সবাজার জেলার চিহ্নিত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী,হত্যা,ডাকাতি,ছিনতাইসহ অনেক মামলার আসামী , সড়ক ডাকাতিকালে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধে পায়ে গুলিবিদ্ধ শহরের সিটি কলেজস্হ সাহিত্যিকা পল্লীর ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের নিউজ  অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও স্হানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সময়ের কণ্ঠস্বর ডটকম/সিটিজি পোস্ট ডটকম/ নিউজ ভিশন ৭১ ডটকমের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক জনকণ্ঠ/দৈনিক পূর্বকোণ মহেশখালী প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাককে প্রকাশ্যে নাজেহাল,হুমকি, ধমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (০৫ মে) রাত ১১ ঘটিকার সময় কক্সবাজার সদর উপজেলা বাজারস্হ নতুন ব্রীজের উপর।
হামলার শিকার সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি তার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শনিবার(০৫ মে) রাত অনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় কক্সবাজার সদর উপজেলা বাজারস্হ নতুন ব্রীজের উপর পৌছলে জেলার চিহ্নিত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী,হত্যা,ডাকাতি,ছিনতাইসহ ৭/৮ টি মামলার আসামী শহরের সিটি কলেজস্হ সাহিত্যিকা পল্লীর ছৈয়দনুর বাহিনীর প্রধান ছৈয়দ নুর ডাকাত ও বক্করের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল যোগে এসে তার গতিরোধ করে “এই মা… সাংবাদিক, তুই পত্রিকায় আঁর আর আমান্যার বিরুদ্ধে নিউজ কিয়ল্লাই গইজ্জদে।আই ইনওরে ন..দি।আর নাম ছৈয়দ নুর। আর হাত উয়রে ,বউত লম্বা। আই কাক্সবাজারের লোকাল পেপার ইন ভরি মুতি দিই। লোকাল পেপার বেগ্গিনত আর নামে নিউজ গল্লেও তুরা আর বা.. পেলাইন্নপারিবি” -বলে আমাকে প্রকাশ্যে নাজেহাল করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ,হুমকি,ধমকিসহ হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।

বিষয়টি সাথে সাথে সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দীন খন্দকারকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক থানার এএস,আই মাজেদের একদল পুলিশ ঘটনাস্হলে আসলে ছৈয়দনুর ডাকাত ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ বাজারের লোকজন ও স্হানীয়দের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তারা পুলিশ উল্লেখিত ঘটনা সত্য বলে জানান।
এব্যাপারে ঘটনাস্হলে আসা কক্সবাজার সদর মডেল থানার এস,আই মাজেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ওসি স্যার বলা মাত্র আমরা ঘটনাস্হলে যাই এবং ছৈয়দ নুর বাহিনীর প্রধান ছৈয়দনুর পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে দক্ষিণ ডিককুল পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যায়। আমরা তার ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলটি স্হানীয় কক্সবাজার কলেজের ছাত্র সোহেলের জিম্মায় রেখে থানায় চলে আসি।

এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক।