শাহেদ মিজান, সিবিএন:
মায়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষিত করতে দ্বিতীয় ধাপের কলেরা টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ। দ্বিতীয় ধাপে উখিয়া ও টেকনাফে ৯লাখ ৯০৬ জনকে এই টিকা দেয়া হবে। এর মধ্যে এক লাখ ৩৫ হাজার স্থানীয় ঝুঁকিপূর্ণ জনগণ। রোববার (৬ মে) থেকে সপ্তাহব্যাপী এই কলেরা টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন বলেন, বিভিন্ন জরুরী পরিস্থিতি; বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধের সময় এবং হঠাৎ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর শরণার্থী হওয়া ইত্যাতি কারণে নিরাপদ পানির অভাব, দূর্বল পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টির ফলে কলেরার ঝুঁকি ও প্রাদুর্র্ভাব অত্যধিক বেড়ে যায়। তেমনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারাও মারাত্মক কলেরা ঝুঁকিতে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কলেরা থেকে মুক্ত রাখতে রোহিঙ্গাদের আসার কয়েক মাসের মাথায় প্রথম ধাপে কলেরার টিকা দেয়া হয়। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের টিকা দেয়ার সময় চলে এসেছে।

সিভির সার্জন জানান, দ্বিতীয় ধাপের কলেরা টিকাদান ক্যাম্পেইন রোববার ( ৬মে) শুরু হচ্ছে। উখিয়া ও টেকনাফে একযোগে সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্পেইন চলবে। এর অংশ হিসেবে প্রায় আট লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে কলেরা টিকা দেয়া হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ এক লাখ ৩৫ হাজার স্থানীয়দেরও কলেরা টিকা দেয়া হবে।
টিকাদানের জন্য প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে একটি টিম কাজ করবে। সে অনুযায়ী উখিয়া উপজেলায় একজন মাঝিসহ ৬ সদস্য বিশিষ্ট ১৭০টি টিকাদান টিম এবং টেকনাফে একইভাবে ৭৫টি টিম করবে। এছাড়াও বিভিন্ন নির্দিষ্ট পয়েন্ট; রেজিষ্ট্রেশন স্থান ও রেশন বিতরণ স্থানে টিকাদান করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।