ডেস্ক নিউজ:

এক বিধবার সাথে চার বছর যাবত পরিচয় ও অবৈধ সম্পর্ক চলছিল সেনিটারী ব্যবসায়ি কায়সারের। ওই নারীর বয়স ৪৫ হওয়ায় এখন তাকে আর ভাল লাগে না। তাই এবার নজর পড়েছে প্রেমিকার ছোট বোনের দিকে। বিষয়টি সহজ ভাবে মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন বিধবা ওই নারী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ত্রিশালে মোক্ষপুর ইউনিয়নের কইতর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ওই নারীর বক্তব্যের সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের মেনজেনা বাজারে সেনিটারী ব্যবসা করতেন কায়সার। ত্রিশালের কইতর বাড়ি গ্রামের মৃত হারুন অর রশীদের স্ত্রী আসমানী খাতুন ওরফে মুর্শিদার (৪৫) সাথে চার বছর আগে পরিচয়। দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী ওই গ্রাম দুটি। পরে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠার সুবাদে প্রায়ই রাতের বেলা মুর্শিদার বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল তার।

এরইমধ্যে মুর্শিদার ছোট বোনের দিকে নজর পড়ে কায়সারের। এতে মাসখানেক ধরে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও মোহের টান কমেনি কায়সারের। দেখা করার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হলে সন্ধ্যার পর কায়সার আসে মুর্শিদার বাড়িতে।

এরপর পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে থাকা ওই নারী বিছানায় শুইয়ে কায়সারের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। পরে ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে খলাবাড়ি বাজারে গেলে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।

কাওসার ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের মেনজেনা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কায়সারে ছোট ভাই নোমান আহম্মেদ বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুর্শিদা ও তার ছেলে সোহাগকে আটক করে।

ওই নারীর ঘর থেকে কেটে ফেলা লিঙ্গটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে সোহাগের কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে মামলার বাদী নোমান জানান, কাওসার উথুরা ইউনিয়নের মেনজেনা বাজারে সেনিটারী ব্যবসা করতেন। ত্রিশালের কইতর বাড়ি এলাকার এক ব্যক্তির কাছে ১ লক্ষ টাকা পেতেন। ওই পাওনা টাকা আনতে গেলে সোহাগের সাথে থাকা অজ্ঞাত ৪/৫ জন লোক কাওসারকে ধরে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।

ওসি জাকিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হওয়ার পর রাতেই আসামি আসমানী খাতুন ওরফে মুর্শিদাকে গ্রেফতার এবং লিঙ্গ উদ্ধার করা হয়। মুর্শিদাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে প্রতিহিংসা পরায়ণ বশতঃই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।