নিউজ ডেস্ক:
ইয়াবা পাচার ও সেবন এখন শুধু সাধারণ মানুষ বা বখাটেদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়িয়ে পড়ছে মারণ নেশায়। কুমিল্লায় ইয়াবাসহ পুলিশের এক কর্মকর্তা আটকের মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই এবার আটক করা হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের এক চিকিৎসককে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় এক হাজার ২০০ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ডাক্তার মোস্তফা কামাল (৩৮), তার বন্ধু ঠিকদার মঈন উদ্দিন (৪২) ও গাড়িচালক হাসু মিয়া (৩৯)কে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করে পুলিশ।
ডাক্তার মোস্তফা কামাল কাজল চুয়াডাঙ্গা জেলার ধামড়হুদা উপজেলার দলিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তিনি ২৪তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এ সময় আটক করা হয় তার বন্ধু মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার উত্তর বাঁশগাড়ি গ্রামের মুজিবুল হকের ছেলে মঈন উদ্দিন (৪২) এবং গাড়িচালক রাজধানীর আদাবর থানাধীন মোহাম্মদপুর শেখেরটেক এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাসু মিয়া (৩৯)। মাঈন উদ্দিন নিজে একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার বলে পরিচয় দেন।
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মনিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মহাসড়কে নিয়মিত টহলরত অবস্থায় সন্দেহজনকভাবে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-২৯-৯৭২২) গতিরোধ করে তল্লাসি চালানোর পর তাদের প্রত্যেকের পকেটে ৪০০ পিস করে মোট ১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানান, কক্সবাজারের টেকনাথ থেকে তারা ইয়াবা নিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় তল্লাসি চালিয়ে চার হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাছির উদ্দিন (৩৮) নামে ডিবি পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় চান্দিনা থানা ও কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।
এবার ইয়াবাসহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তার শিক্ষক আটক
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
