শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওয়ের নাসি থেকে উদ্ধার করা লাশটি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বলে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, লাশটি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পুরাতন পাড়ার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম। এদিকে যার লাশ বলে শনাক্ত করে দাফন শেষ করেছে পরিবার তাকেও জীবিত উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় পুরো কক্সবাজারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৩ টার দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও কলেজ গেইটের পশ্চিমে নাসীতে বস্তাবন্দী একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরী করে মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসাবে লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমনে আল ইত্তেহাদকে হস্তান্তর করে উদ্ধারকারী কর্মকর্তা। টিক সেই মুহুর্তে রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজার সদরের ঝিংলজা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আবু ছৈয়দের পুত্র আবদুল খালেক বলে তার স্বজনরা শনাক্ত করে। পরদিন স্থানীয় মসজিদে জানাযা পরবর্তী দাফন করা হয়। সেদিন তার স্বজনরা আবদুল খালেককে তার স্ত্রী জোবাইদা হকের ইন্দনে শ্বশুর পক্ষের লোকজন পরিকল্পিত হত্যা করে লাশ নাসীতে ফেলে দিয়েছে বলে পুলিশকে জানালে হাসপাতাল এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক করে। এর কয়েক দিন পর থেকে আবদুল খালেকের নাম দিয়ে কে বা কারা তার স্বজনদের মাঝে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে নিজেকে খালেক পরিচয় দিলেও তাদের মধ্যে ধু¤্রজল সৃষ্টি হয়। একই ভাবে তার স্ত্রীর পরিবারের মাঝেও কল করে খালেক পরিচয় দিলে নড়েচড়ে বসে শ^শুর পক্ষ। তারা নাম্বারগুলো ডিবির কাছে দিলে তারা দাফনের ১১ দিন পর কললিষ্ট ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কথিত লাশ আবদুল খালেককে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বার আউলিয়া এলাকা থেকে এসআই মনোষ বড়–য়ার নেতৃত্বে কক্সবাজারের একদল ডিবি পুলিশ জীবিত উদ্ধার করেন বলে তাদের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানা গেছে। তাকে উদ্ধারের বিষয়টি চাউর হলে প্রশ্ন উঠে সেদিনের লাশটি কার? আবদুল খালেক না হয়েও কেন শনাক্ত করে দাফন করা হয়েছে? কেনই বা নিরাপরাদ দুই নারীকে জেল কাটতে হচ্ছে? সর্বশেষ বিষয়টি জেলাব্যাপী চাউর হলে লাশটি টেকনাফের সাইফুল ইসলামের বলে তার স্বজনরা থানায় নিশ্চিত করেছে। তবে এখনো সে লাশটি সাইফুল ইসলামের কিনা এ নিয়ে ধুয়াশা যেন কাটছে না সচেতন মানুষের। জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হবে। প্রতারণার আশ্রয় নিলে শনাক্তকারী ও আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।