এম আবুহেনা সাগর ,ঈদগাঁও :
রোহিঙ্গারা জেলা সদরের বৃহৎ এলাকা ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লায় কৌশলী হয়ে ফের অবস্থান করছে। তারা গ্রামাঞ্চলের বাড়ীঘরে অনেকটা ছড়িয়ে ছিড়িয়ে রয়েছে। যাদের কারনে দেশীয়রা কোণঠাসা হয়ে পড়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে মত প্রকাশ করেন এলাকার লোকজন। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ককসবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নানা ভাবে আশ্রয় নিয়েছে ওপার থেকে পালিয়ে আসা বহিরাগত রোহিঙ্গারা। তবে পূর্বে চলে এসে এলাকায় ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়ীঘরে সাম্প্রতিক সময়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা হরেক রকম কৌশল অবল্ম্বন করে অবস্হান করছে। অন্যদিকে এরা বাজার, ষ্টেশনসহ পাশ্ববর্তী উপবাজারের যত্রতত্র এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়। এদিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াড়ে তথা শিয়াপাড়া, দরগাহ পাড়া, হাসিনা পাহাড় এলাকায় এখনো শতকরা ৫ ভাগ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তবে স্থায়ী ভাবে চলে যায়নি,ঘরবাড়ী ঠিক রেখেছে এলাকাতে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাম অন্তভুক্তি করে নানা সুযোগ সুবিধা আদায় করে আসা যাওয়া করছে বলে জানান ওর্য়াড় আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নুরুল হাকিম নুকি। তবে সচেতন মহল জানান, রোহিঙ্গাদের কারনে সামাজিক সংকট সহ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন। এলাকাতে এদের অবস্থানের ফলে আইন শৃংখলার চরম অবনতি হওয়ার শংকা প্রকাশ করেন তারা। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে ওদেরকে সনাক্তকরণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে। দেখা যায়,রোহিঙ্গারা পাহাড়ী এলাকা ও সমতল ভূমিতে স্থান নিলেও দিনের বেলায় ভিক্ষা করে পরিবার পরিজনের ভরন পোষন চালাতে। ওপার থেকে আসা নর নারীরা এখানে বিষফোঁড়া হয়ে দাড়াবে বলে মনে করেন সাধারন লোকজন। তারা এখানে এসে দেশীয়দের সাথে মিশে গিয়ে হরেক রকম কাজে কর্মে সুযোগ করে নিচ্ছে দেদারছে। ঈদগাঁও ৬ নং ওর্য়াড় মেম্বার কামাল উদ্দিন জানান, তার এলাকা ভুতিয়া পাড়া ও মাছুয়াখালীতে শতকরা ১০ ভাগ রোহিঙ্গা এখনো অবস্থান করছে। আবার মহিলা মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস মেহেরঘোনা ও চান্দেঁর ঘোনা এলাকা এখন রোহিঙ্গামুক্ত বলে জানান। ইসলামপুর ইউনিয়নের জুমনগর এলাকায় শতকরা ২/৩ ভাগ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে জানান মেম্বার আবদু শুক্কুর। তবে এক শিক্ষকের মতে, ওপার থেকে আসা রোহিঙ্গারা আসলেই ঈদগাঁও এলাকার প্রায় গ্রামে প্রবেশ করছে কৌশলে। তাদের কারনে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্বি পাবে। তাই তাদেরকে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শর্রনাথী ক্যাম্পে প্রেরন করা হলে ভাল হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।