তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের ফয়েসলেকে একমাত্র মায়া হরিণের খাচাঁয় এসেছে নতুন অতিথি। শুক্রবার(২০ এপ্রিল) বেলা দেড়টায় এ শাবকটির জন্ম দেয় মায়া হরিণী।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, বেশ কিছুদিন একজন ব্যক্তি একটি অসুস্থ মায়া হরিণ এনেছিল। আমরা সেটিকে সুস্থ করে আগে থেকে থাকা দুটি পুরুষ হরিণের খাচাঁয় রাখি। পরে সে গর্ভধারন করে। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে হরিণটি একটি শাবকের জন্ম দেয়। তবে শাবকটি পুরুষ না মায়া হরিণ তা চিহ্নিত হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। তিনি এক সময় সিতাকুন্ড, মিরসরাই, লাউয়াছড়া, ও পার্বত্য চট্টগ্রামে এসব মায়া হরিণের দেখা মেলতো। শিকার ও বনজঙ্গল উজাড়ের কারনে এসব হরিণ এখন বিলুপ্ত।

১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে অর্ধশতাধিক প্রজাতির দেশি-বিদেশি পশুপাখি রয়েছে। সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আছে। মায়া হরিণ ছাড়াও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চিত্রা ও সাম্বার হরিণ রয়েছে। বর্তমানে ১২ টি চিত্রা হরণ রয়েছে। ২০০৫ সালে ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক থেকে এক জোড়া সাম্বার হরিণ আনা হয়। ২০১৫ সালের দিকে মায়া হরিণ আসে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। নতুন শাবকসহ এ পরিবারে সদস্য ৪টি উন্নীত হলো।