আহবায়ক কমিটি গঠন
মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :
বৃহত্তর ঈদগাঁও বাসস্টেশনের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি। তারা নানাভাবে অবহেলিত ও নির্যাতিত। ময়লা-আবর্জনা এবং পূঁথি দূর্গন্ধময় পরিবেশে এখানকার ব্যবসায়ীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। মালিকপক্ষের নির্যাতনও কম না তাদের উপর। এখানে কোথাও থেকে ঔষধপত্র নামালেও চাঁদা দিতে বাধ্য করা হয়। তাই নিজ নিজ ব্যবসার সুরক্ষায় ব্যবসায়ীদের একই প্লাটফরমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রাণঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হবে। নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষাই হবে তাদের প্রথম কাজ। চুরি-চামারি রোধ ও যে কোন ধরণের আক্রমণ প্রতিহত করতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ২০শে এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের এক পরামর্শ সভায় বক্তাদের বক্তব্যে উপরোক্ত দূরবস্থার কথা উঠে এসেছে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবু তৈয়ব চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতামত ব্যক্ত করেন মাওলানা এনামুল হক ইসলামাবাদী, জমির উদ্দীন সওদাগর, নাছির উদ্দীন, মিজানুর রহমান, শাহাদাত হোছাইন প্রমুখ। দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানের লক্ষ্যে একটি গ্রহণযোগ্য পরিচালনা কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ সভায় শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা আকতার কামাল। এতে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক হচ্ছেন আবু তৈয়ব চৌধুরী। যুগ্ম আহবায়ক জমির উদ্দীন সওদাগর। সদস্যরা হচ্ছেন জসিম উদ্দীন, মিজানুর রহমান, আবু তাহের, নুরুল কবির সওদাগর প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অনৈক্যের কারণে ব্যবসায়ীরা আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায়। মালিকপক্ষের চোখ রাঙানী ও অত্যাচারে তারা জর্জরিত। নিজেদের নিরাপত্তা, সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার্থে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কিছুতেই গুন্ডামী ও মাস্তানীকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। তারা বলেন, ১৫/১৬ বছর যাবত তারা বাসস্টেশনে ব্যবসা করে আসছেন। কোনদিন একই প্লাটফরমে আসার সুযোগ পাননি। পরিচালনা কমিটি গঠন কল্পে আয়োজিত এ মহৎ উদ্যোগ তাদের পরষ্পরের সাথে পরিচিতির সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, এ এলাকায় দিন দিন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। নিজেদের আচার-আচরণ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পূঁজি ঠিক রেখে ক্রমান্বয়ে তাদের এগিয়ে যেতে হবে। পদ-পদবীর লোভ বাদ দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরী করতে হবে। ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজদের কবল থেকে রেহাই দিতে এবং নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ করতে ভূমিকা রাখতে হবে। তারা দীর্ঘদিন সব ধরণের অনাচার নিরবে হজম করতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে বলেন, রাত্রে বাড়িতে ঘুমাতে গেলেও তাদের অন্তরটি এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রয়ে যায়। সভায় নৈশ প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ এবং মজবুত লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তোলার উপর জোর দেয়া হয়। সভাপতি তার বক্তব্যে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে আপনাদের মতামতের আলোকে গঠিত পরিচালনা কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দেখভাল করা হবে। এতে পরবর্তীতে আরো সভা আয়োজনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন সুজন পাল, দেলোয়ার হোসেন, রমজান আলী, বাবু কান্তি দে, মোঃ হেলাল উদ্দীন, সুমন কান্তি দে, মোঃ হোসন, মোহাম্মদ হোসেন, মোঃ হান্নান, আরিফুল হক, ফিরোজ কায়ছার টিপু, মোঃ এখলাছ, রমিজ উদ্দীন, নুরুল হালিম, নাছির আল মাহমুদ, আবুল কাশেম, ইছহাক মিয়া, শাহেদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাছান মাহমুদ মান্নান, সাহাদাত হোছাইন, মহান হোসেন, মোঃ আলমগীর কায়েস, এহেছান উল্লাহ, মোঃ নাছির উদ্দীন, নয়ন পাল, আবু সিকদার, মোঃ নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, বেলাল উদ্দীন শহিদুল্লাহ, তারেকুল ইসলাম, ইব্রাহিম রাফাত, আবুল হাশেম, বেলাল উদ্দীন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।