কনক বড়ুয়া, উখিয়া :
লৌকিক দৃষ্টিকে সর্বসময় বড় করে না দেখে লোকাত্তর জ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের জীবনকে সম্যক জ্ঞানে,সম্যক আচরণে সম্যক সংকল্পে সম্যক দৃষ্টিতে আত্ননিয়োজিত থাকা ও নিজেকে উত্তমভাবে তৈরি করাই হল একমাত্র পথ ও জীবনাদর্শন।

“পূজনীয় কে পূজা কর, স্মরণীয় কে স্মরণ কর” পূণ্যবাক্যকে সামনে রেখে যথাযোগ্য বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হল ঐতিহাসিক রামু রাংকুট বনাশ্রম মহাতীর্থ মহাবিহারের পরিচালক ও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশের দক্ষিনের এক আলোকিত ধর্মীয় গুরু ভদন্ত কে শ্রী জ্যোতিসেন থের’র ৩৬তম শুভ জন্ম দিবস। ২০ই এপ্রিল শুক্রবার সকাল বেলার দিকে অনুষ্টান সম্পন্ন হয়।

জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় মুক্ত আকাশে কবুতর উড়িয়ে, মাছ অবমুক্তি ও পূজনীয় ভান্তেকে দূর প্রান্ত থেকে আগত পূণ্যার্থীর পুস্তবক অর্পন, মঙ্গলাচারন, ধর্মীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই জন্মদিবস অনুষ্টান।

এসময় ভান্তে জন্মদিন উপলক্ষে একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় বই ‘সতিপটঠান সূত্র(পালি বাংলা পদ্য), ছবি প্রকাশনা ও একটি ধর্মীয় ক্যালেন্ডার’র মোড়ক উন্মোচন, অসহায় রোগিদের চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অতিথি আপ্যায়ন সহ বিভিন্ন মাঙ্গলিক কর্মসূচী সুশৃঙ্খলার সাথে পালন করেন।

এসময় বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত পূজার্থীরা ভিড় জমায় বিশ্ব ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম মহাতীর্থ মহাবিহারে।

উল্লেখ্য, পরমপূজ্য ভান্তে দীর্ঘ ৩৬বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিলেন। এবং ১৯৯৮ সালের ১১জুলাই প্রব্রজ্যা নিয়ে দীর্ঘ ৪বছর শ্রামণ্য জীবনে অবস্থান করে আচার্য্যের সান্নিধ্যে শিক্ষা গ্রহণ করে ১৫ নভেম্বর ২০০২ সালে পবিত্র উপসম্পদা গ্রহন করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর ভিক্ষু জীবনে জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করে আসছেন।