নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের রেললাইন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নিয়ে হয়রানী, জালিয়াতি বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
বুধবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরের প্রবেশদ্বার লিংকরোড়ে বিক্ষোভে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মৌজার প্রকৃত ভূমি মালিক স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে। ভূমি মালিকরা আগামী ১ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের দাবী করেছে। অন্যথায় তাদের জমিতে রেললাইন প্রকল্পের কাজ করতে দেবেনা বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মিজানুর রহমান হেলালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কাসেম, সাইদুল হক, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
তাদের অভিযোগ- সরকার যখন ৩ ধারা, ৬ ধারা নোটিশ প্রদান করে তখন কেউ জমির মালিকানা দাবী করেনি। ৭ ধারা নোটিশের পরই চট্টগ্রামের বড়হাতিয়া এলাকার জৈনক গৌরাঙ্গ চন্দ্রের নাতি সাজিয়ে বাসু চন্দ্র নামক ব্যক্তিকে জমির মালিক বানানো হয়। তার নামে অভিযোগ দিয়ে প্রকৃত জমির মালিকদের হয়রানী ও ক্ষতিপূরণের টাকা প্রাপ্তিতে বাঁধা সৃষ্টি করেছে একটি জালিয়াতচক্র। তাদের সাথে এলও অফিসের কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও আনা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো দিদার, সার্ভেয়ার এমদাদ সরাসরি ভূমির প্রকৃত মালিকদের হয়রানী, জালিয়াতি, কমিশন বাণিজ্যে জড়িত। তারা দালালদের মাধ্যমে কাজ করতে বাধ্য করে জমির প্রকৃত মালিকদের।
মানববন্ধনে জানানো হয়, সাবেক ছাত্রদল ক্যাডার ইসহাক, মুফিজসহ চিহ্নিত একটি সিন্ডিকেটের হাতে ক্ষতিগ্রস্তরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রতি চেকে দালালচক্রকে কমপক্ষে ২০ শতাংশ দিতে হয়। অন্যথায় চেক তো দূরের কথা, আবেদনকারীকে নানাভাবে হয়রানী করে।
জালিয়াতচক্রের কারণে শেখ হাসিনার স্বপ্নের রেললাইন প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। তারা ক্ষতিপূরণের চেক নিয়ে তালবাহানা বন্ধের দাবী জানায়। অন্যথায় রেলের ট্যাংকের নীচে ঝিলংজার মানুষ শুইয়ে থাকবে বলে জানায়।
রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে তালবাহানা বন্ধের দাবী ভূমি মালিকদের
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।