বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার :
শীত শেষ হতে না হতেই কক্সবাজার শহরজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। এতে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে শিশুরা। গত বছরের মতো ফের চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে বাসা-বাড়িতে দিনের বেলাতেও মশারী টাঙিয়ে রাখতে হচ্ছে অনেককে। আর এর কারণ হিসেবে শহরের বেশির ভাগ নালা-নর্দমা আর্বজনায় সয়লাব, যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ আর দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার মশক নিধন অভিযান বন্ধ থাকাকে দায়ি করছেন শহরবাসি। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, ঘোনারপাড়া, বৈদ্যঘোনা, বার্মিজ মার্কেট এলাকা, বাজারঘাটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব এলাকার নালা-নর্দমাগুলোর ময়লা-আবজর্না পরিস্কার করা হয়নি বেশ কয়েকদিন ধরে। আর সেগুলো থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করা হয়েছে সেগুলো নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়ে না যাওয়ায় ফের নালাতে প্রবেশ করে দুর্গন্ধগুলো বাতাসের সাথে মিশে গিয়ে নানা রোগ-বালায়ের সৃষ্টির পাশাপাশি মশার বংশবিস্তার ঘটাচ্ছে। এসব কারণে শুধু শহরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে তাই নয় স্বাস্থ্যকর নগরী হিসেবে কক্সবাজারে ভ্রমনে এসে স্বচক্ষে তা দেখে বিরুপ মন্তব্য করছেন পর্যটকরাও। বৌদ্ধ মন্দির সড়কের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান-গত কয়েক বছরে এই এলাকায় পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধনের কোন ঔষধ ছিটানো হয়নি। ফলে বর্তমানে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম শংকিত এলাকাবাসী। বাজারঘাটা এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ মোস্তফা জানান- কক্সবাজার একটি পর্যটন শহর হলেও তেমন কোন সুফল পাচ্ছে না শহরবাসী। নিত্য নৈমত্তিক লেগেই রয়েছে নানা সমস্যা। তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে মশার উৎপাত ও ময়লা আবর্জনার স্তুপ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন আবর্জনা পরিস্কার করা হচ্ছে। শীঘ্রই মশা নিধনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।