শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের ২নং পোকখালী ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জেরে নিরপরাদ ২ শিশু পুত্রসহ পিতার উপর চাকু ও গুলিবর্ষনের খবর পাওয়া গেছে। সংগঠিত ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও জড়িত কাউকে আটক কিংবা ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। ১ মার্চ বিকাল ৪ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের পশ্চিম নাইক্ষ্যংদিয়া দীঘির পাড় এলাকায়। আহতরা হল পশ্চিম পোকখালী এলাকার মৃত হাজী নুর আহমদের পুত্র হাজী মোহাম্মদ হোছাইন(৫৫) তার শিশুপুত্র হাফেজ মোহাম্মদ মুছা(১৪) ও মোহাম্মদ ইছা(১১)। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৎমধ্যে পিতার অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। আহতদের স্বজনরা জানায়, ঘটনার সময় আহত মুছা ও ইছা তাদের বাড়ীর আলো ক্ষেতে কাজ করতে যায়। এ সময় ক্ষেতের পার্শ্ববর্তী ধানী জমির মালিক মধ্যম পোকখালী এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম প্রকাশ নজুর পুত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ তৈয়ব তার চাষকৃত ধানী জমির সার নিক্ষেপ করা পানি আলো ক্ষেতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার বাহানা দিয়ে একই এলাকার মোঃ হানিফার পুত্র আক্তার হোছেন প্রকাশ আক্তারী তাদের উপর উপর্যপুরী ছুরিকাঘাত করে। তাদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে আহত শিশুদের পিতা মোঃ হোছাইন ঘটনাস্থলে এসে শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পশ্চিম নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকার মৃত মহিউদ্দীনের পুত্র মোবারক পুনরায় আহত শিশুদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। তাদের পিতাকে হাতুরী,রড দিয়ে উপর্যপুরী মারধর করে। পরক্ষনে চতুর্দিক থেকে এলাকার লোকজন জড়ো হলে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া ও ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করে পালিয়ে যায় মোবারক। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, মেম্বার মোহাম্মদ শাহজাহান ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশকে খবর দিলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই লিটনুর রহমান জয়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান রফিক আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। আহতরা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান আহতদের স্বজনরা।