বিশেষ সংবাদদাতা :

কক্সবাজার শহরের কুলছুম নগর ওমেদীয়া জামেয়া ইসলামিয়ার বার্ষীক মাহফিলে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ মানুষকে সর্বোত্তম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করে অগুনিত নেয়ামত দান করেছেন। যাতে তারা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত না করে। তাই মানুষের জীবনের সব ক্ষত্রে আল্লাহ ও রাসুল স: এর অনুসরণ করতে হবে। তাহলেই মানুষের সমাজ শান্তিময় সমাজে পরিনত হবে।
যে সমাজে আল্লাহ ও রসুল স: পূর্নাঙ্গ অনুসরণ হবে সে সমাজে থাকবে না, অন্ধকার, সন্ত্রাস, দূর্নীতি, আর কোন ধরণের অশান্তি। সমাজ হবে আলোকিত।
বক্তারা বলেন, দেশের মাদরাসা- মসজিদ গুলো সৎ চরিত্রবান মানুষ তৈরী করে শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করছে।
কিন্তু সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছে তা পছন্দ হয়না। তাই তারা মসজি- মাদরদসা নিয়ে বিষোদগার করে থাকে।
২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং দিন ব্যাপী এই মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া আল জামেয়া ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী। বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতি সাঈদুল ইসলাম, মাওলানা ছৈয়দ আলম আরমানী, মাওলানা হাবিবুল ওয়াহেদ, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা অলীউল্লাহ ও ক্বারী মাওলানা আতাউল্লাহ বোখারী।

মাহফিলে বিভিন্ন অধীবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুহাম্মদ মুলিম, মাওলানা ওয়াহিদুল আলম ও ডাক্তার মুহাম্মদ আমিন।
মাহফিলে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ওমেদীয়া জামেয়া ইসলামিয়ার পরিচালক আলহাজ্ব আলী হাচ্ছান চৌধূরী। তিনি এই মাহফিলের সফলতার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
সমাপনী অধীবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুহাম্মদ মুলিম। এসময় মাওলানা মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী বলেন, শান্তির জন্য আল্লাহ ও রসুল স: এর পথে ফিরে আসতে হবে। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

প্রধান অতিথি বলেন, কুরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাজিল করেছেন মানুষের হদায়াতের জন্য।
মসজিদ-মাদরাসা, আলেম-ওলামাহাফেজে কুরআান ও আল্লাহর মুখলিস বান্দাদের দিয়ে তিনি কুরআনের হেফাজত করে যাবেন কিয়ামত পর্যন্ত।
সকল মৃত মুসলিম নর-নারীদের মাগফিরাত কামনায় মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।