শাহেদ মিজান, সিবিএন:

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে শিক্ষকের থাপ্পরে আহত হয়েছে নাছরিন সুলতানা নামে এক ছাত্রী। তাকে রামু হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাছরিন সুলতানা চেইন্দা সরকারি  মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির মেধাবি ছাত্রী। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমান উল্লাহ তাকে থাপ্পর মারেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্রীর সহপাঠীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় নূরুল আমিন নয়ন জানান, নাছরিন সুলতানা দীর্ঘ ১৫দিন যাবত অসুস্থ থাকার কিছুটা সুস্থতা বোধ করলে সে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক মাষ্টার আমান উল্লাহ তার কাছ থেকে পড়া জিজ্ঞাাসা করে। কিš ‘অসুস্থতা ধরুন পড়া বলার জন্য দাঁড়াতে গিয়ে দেরি হয় তার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই নাছরিন সুলতানাকে এলোপাড়াতি থাপড়াতে থাকে শিক্ষক আমান উল্লাহ। এতে এক পর্যায়ে অজ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যায় সে। তাৎক্ষণিক তাকে সহপাঠীরা স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনো অসুস্থ রয়েছে।

সহপাঠীদের বরাতে জানা যায়, সহপাঠীরা শিক্ষক আমান উল্লাহকে নাছরিন সুলতানার অসুস্থতার বিষয়টি বলেন। তারপরও তাদের কথা না শুনে তিনি নাছরিন সুলতানাকে মুখে-কানে এলোপাতাড়ি থাপ্পর মারতে থাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষক আমান উল্লাহ ক্ষুব্ধচিত্তে বলেন- অসুস্থ হলে বিদ্যালয়ে কেন এসেছে। এ কথার পরও ছাত্রীকে নির্দয়ভাবে মেরেছে শিক্ষক আমান উল্লাহ।

এদিকে শিক্ষকের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিক্ষক আমান উল্লাহর শাস্তি দাবি করেছেন।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আমান উল্লাহর বক্তব্য তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তিনি ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।