জড়িত টেকনাফের কায়েস ও হোটেল মেরিনপ্লাজার বয় সিন্ডিকেট
শাহেদ মিজান, সিবিএন:
রামুর হিমছড়ি থেকে দু’হাজার ইয়াবাসহ হামিদুল হক (২৫) নামে এক টমটমচালককে আটক করেছে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দিকে মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি আমতলী ব্রীজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক টমটম চালক কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীর উত্তর পাড়ার নূরুল কবিরের পুত্র। এসময় ইয়াবা পাচারের ব্যবহৃত টমটমটিও জব্দ করা হয়েছে। হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে আরো ছিলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা।
মোজাম্মেল হক জানান, হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উদ্যোগে মেরিনড্রাইভ সড়কে ইয়াবা বিরোধী অভিযান চলছে। তিন আগে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহজনক গাড়ি ও লোকজনকে তল্লাশী করা হচ্ছে। ওই অভিযানে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারমুখী একটি সন্দেহজনক টমটম তল্লাশী চালিয়ে কন্ট্রোল বক্সের ভেতর দু’হাজার ইয়াবার পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে কক্সবাজার থেকে একদল সাংবাদিক হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে যান। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখী করা হলে আটক টমটম ইয়াবা পাচার ও সিন্ডিকেটের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়।
সে জানায়, আটক টমটমটি তার নিজস্ব মালিকানাধীন। চৌফলদন্ডীর কালু ফকির পাড়ার মো. শাহ আলমের পুত্র শাকিলসহ একটি সিন্ডিকেট টেকনাফের মৌলভী পাড়ার কায়েসের কাছ থেকে এনে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচার করছে। তারা ইয়াবা চালান এনে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটের মেরিন প্লাজার বয় আটক হামিদুলের চাচাতো ভাই চৌফলদন্ডীর আরমান, মিজানসহ একটি সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে। এই সিন্ডিকেটের সাথে মেরিন প্লাজার কর্মকর্তাদের যোগসাজস থাকতে পারে জানিয়েছ আটক হামিদ। নিজ মালিকানাধীন টমটমের যাত্রীর সেবার আড়ালে ইয়াবা নিয়ে আসে হামিদুল ও তার ভাই জুবাইর।
মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আটক ইয়াবা পাচারকারী হামিদুল হকসহ জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।