সিবিএন:
শ্রমিক সংকটের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে গত দুইদিন ধরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। ফলে বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে কোনো পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থলবন্দর ব্যবসায়ীদের মতে, স্থলবন্দরটি ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড নামে পরিচালিত হয়। তারা পণ্য ওঠা-নামার কাজে মেসার্স টেকনাফ ট্রেডিংয়ের নামে ২০০ শ্রমিক ব্যবহার করে। ওই প্রতিষ্ঠানটি ন্যায্য মূল্য না দেয়ায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
মেসার্স টেকনাফ ট্রেডিংয়ের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর কথা বলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে স্থলবন্দরের সঙ্গে কথা চলছে।
রোববার দুপুরে স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, আদা, চাল, আচার, মাছ ও কাঠ ভর্তি ৬২টি ট্রলার নাফনদীতে নোঙর করে আছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র একটি মাছের ট্রলার থেকে প্যাকেট ভর্তি মাছ খালাস করছিল কয়েকজন শ্রমিক। বাকি ট্রলারগুলো নোঙর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আদা পচনশীল দ্রব্য। আর যেসব ট্রলারে করে মিয়ানমার থেকে চাল আনা হয়েছে সেসব ট্রলারে পানি ঢুকেছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও নেই। এতে চাল ভিজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এভাবে পড়ে থাকায় ট্রলার ভাড়া অতিরিক্ত গুনতে হবে।
ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। সমস্যাটি সমধানে চেষ্টা চলছে।
স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ থাকায় দৈনিক অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।