স্পোর্টস ডেস্ক:
তৃতীয় বিয়ে করার পর পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবং রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খানকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। তবে, ইমরান খানকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি করে দিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম খান। যার সঙ্গে বছর খানেক আগে বিচ্ছেদ হয়েছে ইমরান খানের।

রেহাম খান ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইমরান খান একজন মিথ্যাবাদী। তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাকালেই তিনি অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পীরখ্যাত তার নতুন স্ত্রী বুশরা মানেকার সঙ্গে অনেক আগে থেকেই নাকি সম্পর্ক ছিল ইমরানের। এমনটাই অভিযোগ করছেন রেহাম খান।

ইমরানের সাবেক এই স্ত্রীর দাবি, পীর-মুরিদ সম্পর্কের আড়ালে তিনি বুশরার কাছে যেতেন। বিভিন্ন পরামর্শ নিতেন। সেখানেই নাকি বুশরা ইমরান খানকে জানিয়েছেন, তিনি স্বপ্নে আদিষ্ট হয়েছেন ইমরান যদি তাকে বিয়ে করেন, তাহলে একদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পারবেন তিনি।

এমন কথা শুনেই বুশরা মানেকাকে বিয়ে করার মনস্থির করেন ইমরান খান। কারণ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খুব ইচ্ছা তার। বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই ইনসাফের অবস্থানও বেশ মজবুত। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দলই হচ্ছে তেহরিকই ইনসাফ।

এসব খবর অজানা নয় রেহাম খানেরও। এ কারণে তিনি ইংল্যান্ডের ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বুশরা মানেকাকে বিয়ে করে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা ধুলিস্মাৎ হয়ে গেছে। কারণ, তিনি তার নতুন স্ত্রীর যে ছবি প্রকাশ করেছেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে, রক্ষণশীলতা ছেড়ে পাকিস্তান যে আধুনিকতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই চান না ইমরান খান। তিনি আধুনিক পাকিস্তান পাকিস্তান নির্মাণের যে কথা বলেন, সেটা মিথ্যা। বরং, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে, পাকিস্তানে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা আরও মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে। কারণ, ইমরান নিজেও একজন কঠোর মৌলবাদী।’

বুশরা মানেকাকে বিয়ের পর ইমারন খান যে ছবি প্রকাশ করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে তার নতুন স্ত্রী আপাদ-মস্তক ঢাকা, হিজাব পরিহিতা। মুখের সামনে লম্বা পর্দা টানানো। পা-থেকে মাথা পর্যন্ত কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়টাকেই খোঁচা মেরে উস্কে দিতে চাচ্ছেন ইমরানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান। তিনি শুধু এটুকু বলেছেন, ‘বুশরাকে বিয়ে করে তিনি কী অর্জন করতে চেয়েছেন জানি না। আমার মনে হয় তিনি রাজনীতি ছেড়ে সুফিবাদের দিকে ঝুঁকছেন। সবচেয়ে বড় কথা রাজনৈতিকভাবে অপমৃত্যু ঘটেছে ইমরানের।’

ইমরানকে যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বুশরা এ কথা জানিয়েছিলেন বুশরার সাবেক স্বামী খওহর ফরিদ। একদিন নাকি বুশরা এসে তাকে জানান, তিনি মহানবী হজরত মোহাম্মদের (সা.) কাছ থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন। সেখানে হজরত নিজে এসে নাকি বুশরাকে বলেছেন, ইমরানকে বিয়ে করার জন্য(!)। তাহলেই নাকি ইমরান সমস্ত বাধা পেরিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। এবং সেটা হলে পাকিস্তান এই জর্জরিত অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে ও অসাধারণ দেশে উন্নীত হবে।

তবে রেহাম খানের এমন মন্তব্যের পর ইমরান খানের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন কতটা পূরণ হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।