যুগান্তর : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বয়স্ক নারী বিবেচনায় জামিন দেয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীর জামিনের বিরোধিতা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে সময়ের আবেদন করা হলে আদালত এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, ‘সাত বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত যে কোনো ব্যক্তিকে এই আদালত জমিন দিতে পারেন। খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের জন্য সাজা পেয়েছেন। তাই তাকে আদালত জামিন দিতে পারেন। তার পর তিনি নারী ও বয়স্ক। তিনি জামিন পেতে পারেন।’
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
দুদকের আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘দুদক আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মামলার রায়ের সত্যায়িত কপি পেয়েছে। সে কারণে আমরা তা দেখতে পারিনি। কাগজপত্র দেখে এ ব্যাপারে শুনানি করতে হবে। সে কারণে সময়ের প্রয়োজন।’
এ সময় আদালত সাত বছরের নিচে কেউ দণ্ডপ্রাপ্ত হলে হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন দিতে পারেন বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া আদালত দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘এটি কি শুনানির প্রয়োজন আছে?’
তখন খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘আমি শুনানির জন্য সময় চাইছি।’ এর পর আদালত জামিন আবেদনের শুনানি রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় আদালতের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘আগামী রোববার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হবে। আশা করছি ওই দিন তার জামিন হবে।’
এ ছাড়া পৃথক ব্রিফিংয়েও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদিন একই কথা বলেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। গত সোমবার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।