স্পোর্টস ডেস্ক:
৬৬ বছর বয়সে এসে হ্যাটট্রিক করলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। না, এই হ্যাটট্রিক মাঠে নয়, মাঠের বাইরে। বিয়ের আসরে। জেমিমা গোল্ডস্মিথের পর ইমরান খানের জীবনে এসেছিলেন রেহাম খান। অবশেষে, তৃতীয় নারী এলেন তেহরিক-ই ইনসাফের প্রধানের ঘরনী হয়ে। তিনি বুশরা মানেকা। পীর হিসেবে পরিচিত বুশরা মানেকার সঙ্গে বিয়ের কথা সম্প্রতি স্বীকার করেছেন পাকিস্তানের রাজনীতিতে উঠে আসা সাবেক এই ক্রিকেটার।

বিয়ের এসব খবর বেশ পুরনো। নতুন খবর হলো, ইমরান খানের বিপক্ষে অভিযোগ তুলে দিয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম খান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের আগেই বুশরা মানেকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ইমরানের। এই সম্পর্কের বয়স অন্তত তিন বছর। রেহাম যখন ইমরানের স্ত্রী ছিলেন, তখনও প্রায় বুশরার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন ইমরান।

বুশরার দাবি, গত ১ জানুয়ারি বুশরা মানেকাকে বিয়ে করেন ইমরান খান। যদিও তিনি বিষয়টা লুকিয়ে রেখেছিলেন। অবশেষে সেটা স্বীকার করলেন। রেহামের ধারণা, তৃতীয় বিয়ের পর ইমরান যে সব কথা বলছেন, সেগুলোর একটিও সত্য নয়। এমনকি রেহাম ইমরানকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে, তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় ইমরান প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

পাকিস্তানি এক মিডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রেহাম খান বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, এই বুশরার সঙ্গে ইমরানের সম্পর্ক তিন বছর ধরে। এমনকি আমাদের সংক্ষিপ্ত দাম্পত্য জীবনেও ইমরান প্রায়ই বুশরার সঙ্গে দেখা করত। সে আগাগোড়া একজন মিথ্যাবাদী।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রেহাম একই কথা লিখেছেন, ‘আমি যত দূর জানি, ইমরান বুশরাকে গত ১ জানুয়ারি বিয়ে করেছে। কিন্তু সে এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করল এখন। একই ব্যাপার সে করেছিল আমাকে বিয়ে করার পর।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই রেহাম লেখেন, ‘বুশরার সঙ্গে অনেক আগে থেকেই যে ইমরান দেখা করতেন। গত তিন বছর তিনি বুশরার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে চলেছেন। তারা কথা বলতো পীর-মুরিদ হিসেবে। পীরের সাবেক সামিই আামাকে এসব নিশ্চিত করেছে। অথচ তখন আমি তার স্ত্রী ছিলাম।’

রেহাম খানের এসব মন্তব্য ইমরান খানের রাজনৈতিক অবস্থানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। কারণ, আগামী জুলাইতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। তখন প্রতিদ্বন্দ্বী মুসলিম লিগ এসব ইস্যুকে ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।