সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ প্রদান দ্রুত করার দাবি তুলে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) স্মারকলিপি দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও তাদের ওয়ারিশরা। রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অন্যতম জমির মালিক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেনের হাতে ওই স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়।
অধিগ্রহণকৃত জমি নিয়ে বিমান বন্দর ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের ‘ওভারলেপিং’ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ প্রদান দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। জমি মালিকদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন জানিয়েছেন, তিনি দ্রুততর সময়ে বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহণের টাকা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন কক্সবাজার ভিশন ডটকমকে বলেন, ‘মাতারবাড়ির এলএনজি গ্যাসলাইন প্রকল্প ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণের টাকা প্রদানের কাজ চলছে। এই দুইটি প্রকল্প ছাড়াও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়েও আমাকে ব্যস্ততার মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজই নিজের হাতে করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওভারলেপিং সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হওয়ার পর এখন যতদ্রুত সম্ভব বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহণের টাকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ওই সময় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান ছাড়াও বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুস শুক্কুর সিআইপি, কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, সাবেক ইউপি মেম্বার মোজাম্মেল হক হেলালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাঁশি সওদাগর, নারী নেত্রী শাহানা আকতার পাখি এবং ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও উত্তর নুনিয়াছড়া, মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
তারা জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের আর্জি তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক আলী হোসেনও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের কথা শুনেন এবং অধিগ্রহণের প্রাপ্ত টাকা ব্যবসায় ও আর্থিক উন্নয়নমূলক কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান দ্রুততর সময়ে অধিগ্রহণের টাকা প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানান।
অধিগ্রহণের শিকার জমির মালিক আবদুস শুক্কুর সিআইপি কক্সবাজার ভিশন ডটকমকে জানান, কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২৪ দশমিক ৯৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে চুড়ান্ত নোটিশ ৭ ধারা জারির পর হঠাৎ কক্সবাজার বিমান বন্দর ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণকৃত জমি নিয়ে ‘ওভারলেপিং’য়ের অভিযোগ তুলে। তারই প্রেক্ষিতে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান স্থগিত হয়ে যায়।
তিনি জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয় ওভারলেপিং হওয়া জমি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ২০ দশমিক ৬৬৯০ একর জমির ক্ষতিপূরণ প্রদানে চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্মারকলিপিতে ১২৪ জন জমির মালিক ও তাদের ওয়ারিশ দস্তখত করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।