ডেস্ক নিউজ:
খুলনায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ৯ পরীক্ষার্থী গ্রেফতারগোপন সংবাদ ছিল, খুলনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রটি পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগেই প্রশ্নফাঁস করে। তারা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র বিক্রি করছে। এরপর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে— এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই তারা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতার করা পরীক্ষার্থীদের নামে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-৬ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিপিসি স্পেশাল কমান্ডার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শনিবার (১৭ ফেবুয়ারি) এসএসসির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় (সৃজনশীল) বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। সকাল আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার বিকালে খুলনার লবণচরায় র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষার্থী। এরা হচ্ছে— খালিশপুর থানার কাশিপুর এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (১৮),হাবিবুর রহমানের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী নাইমুর রহমান (১৬), দৌলতপুর থানার পাবলা এলাকার মো. আনোয়ারুল হোসেনের ছেলে সাকিব হোসেন (১৮), যশোর জেলার সদর থানার কিশোরগঞ্জ এলাকার মৃত মোরশেদ মিয়ার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ইব্রাহিম আল নাইম (১৬), পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকার সাত্তার মল্লিকের ছেলে মো. সাজিদ (১৬), খালিশপুর থানার কাশিপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৮),সবুর খানের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৮), দৌলতপুর থানা এলাকার মারিফুল ইসলামের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মোনায়েম শাহারিয়ার রাফি (১৬) ও হরিশেবক রায়ের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী চয়ন রায় (১৭)।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শুরু থেকেই প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নফাঁস হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রতি দিনই প্রশ্নফাঁস হয়েছে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা আগে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।