সাইফুল ইসলাম:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখুন’ এ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঘুড়ি উৎসব। ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালের দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ ঘুড়ি উৎসবে রং বে রং এর বিভিন্ন ঘুড়ি উড়ানো হয়।
ঢাকাবাসী সংগঠনের আয়োজনে ঘুড়ি উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন। ঢাকাবাসী ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সভাপতি মো. শুকুর সালেকের সভাপতিত্বে ঘুড়ি উৎসবে ঢাকাবাসী সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহীন পারভিন, ঘুড়ি ফেডারেশনের সহ সভাপতি আব্দুল বারেক সোনা মিয়া। ঘুড়ি উৎসবে শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন রংয়ের ঘুড়ি উড়ায়।
এদিকে এ সমুদ্র সৈকতে সামুদ্রিক প্রাণীর আদলে দেশী-বিদেশী ঘুড়ি উড়ানো হয়। আর এ উৎসব পর্যটকদের কাছে ছিল বাড়তি আনন্দের। তারা ভ্রমনের সাথে ঘুড়ি উড়িয়ে মজা নিচ্ছিল। সাধারণ ঘুড়ির পরিবর্তে দেশী-বিদেশী ঘুড়িই ছিল তাদের কাছে মূল আর্কষণ। আকাশে উড়ছে বাংলাদেশের ঘুড়িসহ নানা ধরনের রঙ্গিন ঘুড়ি। এসব ঘুড়ির মধ্যে ছিল ভিন্নতা। ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ নেওয়া পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নানা রংয়ের এ দেশী-বিদেশী ঘুড়ি উড়িয়ে তারা খুবই খুশি। এ উৎসবে বেশি মজা নিচ্ছিল শিশুরা।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কাজলী নামে এক নারী জানান, ঘুড়ি উৎসবে অংশগ্রহণ করে তার খুবই ভাল লাগছে। একই ভাবে তার বাচ্চারাও খুব খুশি।
‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখুন’ এ প্রতিপাদ্যে ৮ম বারের মতো প্রতি বছরের ন্যায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করেন ‘আমরা ঢাকাবাসি’ সংগঠন। এসব ঘুড়ির ব্যাপারে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, ঘুড়ি গুলো আনা হয়েছে চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেপালসহ আরও বিভিন্ন দেশ থেকে। এ ঘুড়ি উৎসব পর্যটকদের বিনোদনের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে জানান সচেতন মহল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।