নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ে সন্ত্রাসী গ্রুপের আনাগোনা


আব্দুর রশিদ, বাইশারী:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি পাহাড়ে ঘুরছে অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ। ওই সন্ত্রাসী গ্রæপের হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সোনাইছড়ি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সীমানা এলাকায় পাহাড়ী-বাঙ্গালী জনগোষ্টী রাতভর এলাকা পাহারা দিয়েছে। এদিকে ওই সন্ত্রাসী গ্রæপকে ধরতে শুক্রবার সকাল থেকে অভিযান চালাচ্ছে বিজিবি-পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী। ঘটনার পর বান্দরবান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫নং সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বাহান মারমা বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের উপর জোমখোলাপাড়া জেলা পরিষদের নির্মীতব্য সড়কের সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ১০-১২জনের অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় তাঁকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে একটি মোবাইল সেট ও পকেটে থাকা নগদ ৫হাজার টাকা লুট করে। একই স্থানে মোটরসাইকেল চালক শামসুল আলম, জীপ চালক পুতিয়া ও রুহুলের জীপ গাড়ি থামিয়ে ব্যাপক লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা।

হামলার শিকার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহান মারমা এই প্রতিবেদককে বলেন- ‘উপজেলা থেকে কাজ সেরে ফেরার পথে ১০-১২জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ির গতিরোধ করে হামলা চালায় এবং নগদ টাকাসহ মোবাইল সেট লুট করে। পরে ওই গ্রæপটি জোমখোলার উপরে জেলা পরিষদের নির্মীত সড়ক হয়ে পূর্ব দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে জোমখোলা ও সাতঘইজ্জা পাড়া এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: আলী এ প্রতিবেদককে জানান- বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটি অস্ত্রধারী বাহিনীর সদস্যরা সাতগইজ্জাপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে বলে গ্রামের মানুষের মাঝে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাদের ধরতে বিজিবি-পুলিশের যৌথ বাহিনী সতগইজ্জাপাড়া পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।

সাবেক চেয়ারম্যান আবু সৈয়দের সাতগইজ্জাপাড়া গ্রামস্থ রাবার বাগানের পাহারাদার শহর আলীর স্ত্রী সিরাজ খাতুন জানান- ‘শুক্রবার সকালে ৮জন যুবক এসে তাকে মুরগি রান্না করে দিতে বলে। তাদের প্রত্যেকের কাছে লম্বা ও খাটু অস্ত্র ছিল’। বিজিবি-পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই সন্ত্রাসীরা দ্রæত সোনাইছড়ির দিকে পালিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলমগীর শেখ জানান- কয়েকজন যুবক সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তবে তাঁর উপর হামলা হয়নি। ঘটনার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আলী হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা চান।

এদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি জোনের জোনাল কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে.কর্ণেল আনোয়ারুল আযীম বলেন- ‘অস্ত্রধারী ডাকাতদলের উপস্থিতির খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে অভিযান চালাচ্ছে’।