রামুর জোয়ারিয়ানালার আদমপাচারকারী রুমা শর্মা অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টায় রুমার নিজ বাড়ি থেকে রামু থানার এসআই ছানাউল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে আটক করেন। রুমা শর্মা জোয়ারিয়ানালা গ্রামের মনোহরী শর্মা প্রকাশ দুলালের স্ত্রী।
এসআই ছানাউল্লাহ জানান, রুমা শর্মা বিভিন্ন লোকজন থেকে লন্ডনে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে বেশকিছু লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতের ওয়ারেন্ট রয়েছে যার মামলা নাম্বার রামু কোর্টের সিআর ৩৪২।
জানা যায়, রুমা শর্মার একছেলে একসময়ে লন্ডন প্রবাসী ছিলেন। রুমা শর্মা তার ছেলেকে পুঁজি করে লন্ডন-ইউরোপ চাকরি দেওয়ার কথা বলে কক্সবাজারের বেশ কিছু লোকজন থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারমধ্যে তার প্রতারণার শিকার হওয়া চকরিয়ার দক্ষিণ সুরাজপুর গ্রামের নির্মল কান্তি শর্মার পুত্র শংকর কান্তি শর্মা হতে ২০১৫ সালে ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরে আদালতে শংকর কান্তি শর্মা রুমাকে প্রধান আসামী করে তার ছেলেসহ তিনজনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত ঘটনার অধিকতর নিশ্চিতের জন্য পিবিআইকে তদন্ত দেয়। তদন্তের প্রেক্ষিতে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা দেন।
রুমা শর্মার প্রতারণার শিকার হওয়া শংকর কান্তি শর্মা বলেন, আমাকে লন্ডনে পাঠানোর কথা বলে তিন বছর আগে ৯লাখ ১২ হাজার টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন এলাকা থেকে পালিয়ে যায় পরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আমরা ব্যর্থ হয়। • যখন টাকা ফেরত নিতে বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করি তখন জানতে পারলাম তার ছেলে দেশে চলে এসেছে এবং আমার মতন অনেক লোকজন থকে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারাও রামু থানায় জিডি করে টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ছানাউল্লাহ জানান, বর্তমানে সে রামু থানায় পুলিশ হেফাজতে আছে কোর্টে চালান দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।