শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:
ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী র্যালীর পঙ্গুত্ব তাকে দমাতে পারেনি।মেধা মনন,প্রজ্ঞায় নিজেকে গড়ে তুলতে ভর্তি হয়েছিল অত্র বিদ্যালয়ে।পুরো নাম তরতিল আরফাজ র্যালি শ্রেণী রোল ভর্তি অনুযায়ী ৩৬।আজন্ম থেকে তার একটি পা নেই চলছিল ক্র্যাস দিয়ে ,এর পরেও নিজের অধম্য ইচ্ছা প্রবল মানষিক শক্তির জোরে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছে স্কুলে।পড়ালেকার পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে ক্রীড়া ,সাংস্কৃতিকসহ নানা অনুষ্ঠানে।কৃতিত্বের সাথে অর্জন করে নিচ্ছে প্রথম স্থান।
জানা গেছে, র্যালি ইতিপুর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একাধিক পুরুষ্কারে ভূষিত হয়েছিল।বর্তমানে সে অত্র বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণী থেকে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহন করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।পিতা মাতার সন্তানদের মধ্যে ল্যালি পড়াশোনায় সবার কাছে মেধাবী হিসাবে পরিচিত।পরিবারের অপরাপর সদস্যরা স্বাভাবিক হলেও র্যালি জন্মের পর থেকেই প্রতিবন্ধী হয়ে যায়।চলাচলসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন পরিবারের সদস্যরা । তরতিল আরফাজ র্যালি ঈদগাঁ ইউনিয়নের মাছুয়াখালী সিকদার পাড়া এলাকার আবদুল করিম ও সাবেকুন্নাহারের মেয়ে। সে অনেক কষ্ট করে হেটে কিংবা গাড়ীযোগে বিদ্যালয়ে আসে। সম্প্রতি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় যেমন খুশি তেমন সাঝ,দেশাত্ববোধক,কৌতুকসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে প্রথম হয়েছে।
পঙ্গুত্ব তাকে দমাতে পারেনি।এর পরেও স্বপ্ন দেখছে অনেকদুর যাওয়ার।পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে আর্তমানবতার কল্যাণে ব্যয় করবে বলে জানায়।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একে এম আলমগীর জানান,র্যালি প্রতিবন্ধী হলেও অদম্য মেধা আর সাহস রয়েছে। র্যালি প্রতিবন্ধী জীবনকে জয় করে বাস্তবে একদিন তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। তার মা-বাবা, মেয়ে প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পুরষ্কৃত হওয়ায় আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সে একদিন অনেক বড় হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।