সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে: কর্নেল অব: ফোরকান আহমদের প্রচেষ্টায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোডের্র সার্বিক সহযোগিতায় গোমাতলী পাউবো বেড়িবাঁধের ৬৬/৩ ফোল্ডারের ক্লোজার ও বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজ সোমবার (১২ ফ্রেবুয়ারী) প্রাথমিক ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এদিন স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি,মোহাজের সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন। এদিন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে শত শত শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় ভাঙ্গনরোধ করতে সক্ষম হয়। এর আগে স্থানীয়রা একবার চেষ্টা করা হলেও পানির প্রবল স্রোতে তা ভেসে যায়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ মে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোমাতলী পাউবো বেড়িবাঁধের ৬৬/৩ ফোল্ডারের ৬নং স্লুইচ গেইট পয়েটে বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
এতে রাজঘাট, গাইট্যাখালী, চরপাড়া, বদরখাইল্লাপাড়া, কাটাখালী, বারডইল্লাপাড়া, আজিমপাড়া, সিদ্দিকবাপেরপাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বাঁধরোধ করতে সক্ষম না হওয়ায় গত ২০মাস এ এলাকা কার্যত পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ফলে লবণ উৎপাদন ও চিংড়ি চাষ করতে না পারায় এলাকার শত শত মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পরবর্তীতে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে: কর্নেল অব: ফোরকান আহমদ,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গন রোধসহ বাঁধ সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এরপর কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ২৩ মিটার ক্লোজার ও ১শ মিটার দৈর্ঘের বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
যদিও নির্মাণ কাজ শেষ নামাতে ২কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত ১১ মাস পুর্বে স্থানীয়দের সহায়তায় ক্লোজার নির্মাণ করার মাধ্যমে ভাঙ্গনরোধ করার চেষ্টা করলে প্রবল পানির স্রোতে তা ধ্বসে গেলে প্রথম বারের নির্মাণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গত শনিবার থেকে সোমবার সকালে শত শত শ্রমিক নিয়োগ করে নির্মাণাধিন ক্লোজার রোধ করা সম্ভব হয়।
স্থানীয় এবং পাউবো’র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থেকে নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারকি করেন। এসময় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সবিবুর রহমান, মো: তাজুল ইসলাম, ঠিকাদার মানিক চেয়ারম্যান, গোমাতলী মোহাজের সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন, সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন, সহ সভাপতি সাইফুদ্দীন, মো: শাহজান, জিয়াউল করিম মিন্টু, হান্নান মিয়া প্রমুখ।
অবশেষে ক্লোজার নির্মাণ করার মাধ্যমে ভাঙ্গনরোধ করতে সক্ষম হওয়ায় এলাকাবাসী কউক চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাজ যে গতিতে এগিয়ে চলছে দ্রুত সময়ের মধ্যে লবণ উৎপাদন ও চিংড়ি চাষ শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।