অনলাইন ডেস্ক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট। একইসঙ্গে বিএনপির দেয়া সব কর্মসূচিতেও অংশ নেবে জোটের শরিক দলগুলো।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা ও কারাবন্দি করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।
২০ দলীয় জোটের ঐক্যকে আরও প্রসারিত করতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্তও নেয়া হয় এই বৈঠকে। সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেলিফোনে বক্তব্য রেখেছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াই হচ্ছেন ২০ দলীয় জোটের নেত্রী। এতে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আর আমি সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছি। আমিই সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবো।’
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সাজার প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচিগুলো দিয়েছে তার সাথে জোট একাত্মতা ঘোষণা করেছে। এছাড়া ভবিষ্যতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচিতে জোট সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভবিষ্যতে ২০ দলীয় জোটের ঐক্যকে আরও প্রসারিত করার জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেলিফোনে বক্তব্যে রেখেছেন। তার বক্তব্যে, জনগণের একটি জোট (প্লাটফর্ম) তৈরি করার আহবান এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে যাতে হতে পারে, তার জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়েছে বৈঠকে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল গ্রেফতার নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি করা হয়েছে।’
বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যেজোটের (একাংশ) আব্দুর রকিব, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মুনি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।