ডেস্ক নিউজ:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় শুনতে বকশিবাজারে বিশেষ আদালতে যাওয়ার পথে কাকরাইল মোড়, মৎস্য ভবন এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সামনে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।
অন্তত একটি মোটর সাইকেলে আগুনও দেয়া হয়েছে। জবাবে পুলিশকে টিয়ার শেল ছুড়তে দেখা গেছে। টেলিভিশনের লাইভ ফুটেজে একজনকে আটক করতেও দেখা গেছে।
বেগম জিয়ার আদালতে যাওয়ার পথে প্রথমে মগবজারে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনের সড়কে বিএনপি নেতকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।
পরে মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান নেতাকর্মীরা।
খালেদার রায় ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আগের দিন বুধবার থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রাজধানীতে বুধবার রাত থেকেই কমে আসে গণপরিবহনের সংখ্যা। কী হবে কী হবে মানুষও কাজ সেরে তড়িঘড়ি ঢুকছেন বাসাবাড়িতে।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বিশেষ আদালতের উদ্দেশে বের হন খালেদা জিয়া। পথে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী।
গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ১২০ কার্যদিবসের বিচারকার্য শেষ হয়েছে ২৩৬ দিনে। আত্মপক্ষ সমর্থনে গেছে ২৮ দিন। যুক্তি উপস্থাপন হয়েছে ১৬ দিন এবং আসামি পক্ষ মামলাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন ৩৫ বার।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
পরে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।