হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় ৪ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৬জন আহত হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থী বোঝাই সিএনজিটিও (অটোরিক্সা) ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আহতদের হ্নীলা ও টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের ৩নং এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হোয়াইক্যং আলহাজ¦ আলী-আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র হতে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে সিএনজি (কক্সবাজার-থ-১১-৩৬৯০) ফেরার পথে কাঞ্জরপাড়া ষ্টেশনে পৌছলে বিপরীত দিক হতে একটি ডাম্পার বেপোয়ারা গতিতে এসে পরীক্ষার্থী বোঝাই সিএনজি ও যাত্রী বোঝাই একটি টমটমকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে গাড়ি উল্টে যায়। এতে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী হ্নীলা উলুচামরী গ্রামের মোহাম্মদ হোছনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৭), দরগাহ পাড়ার নুরুল বশরের মেয়ে মাইমুনা আক্তার (১৬), হ্নীলা পশ্চিম সিকদারপাড়ার সিরাজ মিয়ার মেয়ে নাছিমা আক্তার (১৬), লেদার শামশুল আলমের মেয়ে মাহমুদা আক্তার (১৭) ও অভিভাবক মোহাম্মদ হোসনসহ সিএনজি চালক আহত হয়ে মাটিতে চিৎকার করতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হ্নীলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর আহত ১জন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ১জন অভিভাবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ-গ্রহণ নিয়ে শিক্ষক ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর হতে টেকনাফ সড়কে অদক্ষ চালকদের উৎপাত ও নাম্বারবিহীন ডাম্পার, চাঁন্দের গাড়ি, মাহিন্দ্রা, সিএনজি, টমটম ও অটোরিক্সার ছড়াছড়ি হলেও নিয়ন্ত্রণের কেউ না থাকায় এই সড়কে দিন দিন দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে। সচেতন মহল এসব বন্ধ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।