মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
পার্বত্য বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযান জামায়েতের উপজেলা আমির সহ ৫ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার এদেরকে পৃথক অভিযানে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামাতের আমির রফিক আহমদ ( ৫৬) তার বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের মসজিদ ঘোনা এলাকায়। তাকে আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ির সদরের পাশ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া বাজার থেকে মঙ্গলবার বিকেলে গর্জনিয়া ফাড়িঁ পুলিশ। আটক দ্বিতীয় জন উজ্জ্বল দাশ (৪৩)। সে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রদল নেতা। তার বাড়ি উপজেলা সদরে। জাকের আহমদ (৪৫)। তিনি ব্যবসায়ী। তবে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির -জামাতের ব্যানারে নির্বাচিত তোফাইল আহমদের ভায়রা। তাকে আটক করা হয় উপজেলা সদর থেকে। অপর দু’জন হলো,এহতেসামুল হক মানিক (৪১)। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বাইশারী থেকে আটক করা হয়। তিনি বাইশারী বিএনপির সভাপতি মনিরুল হকের ছোট ভাই। শিবলী (২৮)। তাকে আটক করা হয় উপজেলা সদর থেকে। সে কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমানের আপন চাচাতো ভাই।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর শেখ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে । এ জন্যে তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশ অপরাধিদের আটকে সব সময় তৎপর আছে,থাকবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল আলীম বাহাদুর বলেন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সরকার পুলিশ দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করছে। অপরদিকে বিশ্বস্ত একাধিকসূত্র জানান, ৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও পাশের ইউনিয়ন কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া এলাকার জামাত-বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী গা-ঢাকা দিয়েছেন।
নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযান জামাত-বিএনপির ৫ নেতা আটক
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।