ডেস্ক নিউজ:
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৩২ ধারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথে অন্তরায় নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সত্য ঘটনা অনুসন্ধান করলে সাংবাদিকদের কেউ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফেলতে পারবে না। এ আইন সাংবাদিকদের সাজা দিতে করা হয়নি।
তিনি বলেন, আমি বুঝি না আপনারা কেন এটা নিজেদের ঘাড়ে নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনাদের কথা দিয়েছিলাম ৫৭ ধারা বিলুপ্ত হবে, বিলুপ্ত হয়েছে। ৫৭ ধারাতে বিভিন্ন অপরাধে সাত থেকে চৌদ্দ বছর মেয়াদে সাজার বিধান ছিল। তাছাড়া ওই আইনে অপরাধগুলো স্পষ্ট ছিল না। ৩২ ধারায় সে অপরাধগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে। ছোট অপরাধ করলে ছোট সাজা ও বড় অপরাধ করলে বড় সাজা প্রদানের বিধান রয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৩২ ধারায় যে সকল অপরাধের উল্লেখ রয়েছে সেগুলো পেনাল কোডেও রয়েছে। কিন্তু কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করলে পেনাল কোড মামলায় অপরাধীদের শাস্তি দেয়া যেতো না। এ কারণে ওই আইন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হলে তাহলে তিনি সেই সাংবাদিকের পক্ষে বিনা পয়সায় মামলা পরিচালনা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন। আইনটি পাস করার আগে সাংবাদিকদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে যদি গুপ্তচরবৃত্তি হয় সেক্ষেত্রেই এই ধারা প্রযোজ্য। যেমন, রিজার্ভ ব্যাংকের টাকা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে লুট করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কি আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করবো না? এসব ক্ষেত্রে বিচারের জন্যই তো এই ধারা রাখা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব অপরাধ দণ্ডবিধি আইনে রয়েছে। তবে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ওই অপরাধগুলো হলে তার বিচারের সুযোগ দণ্ডবিধিতে ছিল। এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সেসব অপরাধের বিচার হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।