সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :
কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী গ্রামের রাস্তা গত রোয়ানু-মোরা’য় ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ৫ গ্রামের মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। জোয়ার-ভাটার পানিতে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। রাস্তায় সিএনজি ব্যাটারি চালিত অটো চলাচল যৎসামান্য হলেও ভাড়া দিতে হচ্ছে বেশি। বর্তমানে পশ্চিম গোমাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গাইট্যাখালী-রাজঘাট পাড়া পর্যন্ত রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় এই পথে চলেনা গাড়ি। যার কারনে সেখানকার মানুষগুলোকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রোয়ানু-মোরা’র প্রবল পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। এ রাস্তা দিয়ে ৫ গ্রামের সাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটো, সিএনজি, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশার মানুষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করতেন। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে পথচারীসহ ৫ গ্রামে যাতায়ত করা খুবই কষ্টকর হয়েছে।
ঈদগাঁও থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের কাটাখালী ব্রীজ দেবে গেছে। জোয়ারের পানির প্রবল চাপে এই রাস্তার বারডইল্ল্যা পাড়া, গাইট্যাখালী, আজিম পাড়া, রাজঘাট অংশ ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে ওই ৫টি গ্রামের মানুষ গুলোর চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। গ্রামে একমাত্র পশ্চিম গোমাতলীর ছোট বাজার রয়েছে। ভাঙাচুরার ফলে বারডইল্ল্যা পাড়া, গাইট্যাখালী,আছিন্ন্য পাড়া, আজিম পাড়া, চরপাড়া, রাজঘাট গ্রামের মানুষগুলোর এই পথে চলাচলে চরম দুর্ভোগে আছে। এই রাস্তা দিয়ে গ্রামের সকল শ্রেণীর মানুষ নানা সুবিধা ভোগ করত। কিন্তু বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার কারণে এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।
গাইট্যাখালী গ্রামের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র আরমান হোসেন বলেন, প্রতিদিন এই পথে স্কুলে চলাচল করি। ভেঙ্গে যাওয়ার পর রাস্তার পাশে নিচু দিয়ে চলাচল করছি। এই নিচু দিয়ে চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। তাছাও খুব ভয় লাগে কখন গর্তে পড়ে গিয়ে বড় কোন দুর্ঘটনা হয়।
একই এলাকার সিএনজি চালক গোরা মিয়া বলেন, এই পথে সিএনজি চালাই। গত বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। অনেকে এসে দেখে গেছে মেরামত করার কথা দিয়ে যায় পরে আর তাদের দেখা মেলে না।
গোমাতলী মোহাজের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফি উল্লাহ বলেন, রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে অনেক শিশু-শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চলাচল করে। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এখনও মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হয়নি।
পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, গত বছরের রোয়ানু-মোরা’র আঘাতে রাস্তা ভেঙ্গে যায়। আপাতত পরিষদের বরাদ্ধ দিয়ে উপ সড়কে কর্মসূচির কাজ চলছে। পশ্চিম গোমাতলী থেকে রাজঘাট পর্যন্ত ওই রাস্তাটির নির্ধারিত কোন বাজেট নেই। তবে সদর পিআইওকে অবগত করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।