মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ক্যায়াজর বিলে তান্ডব চালিয়ে বন্য হাতির পাল উপড়ে ফেললো ১২ কৃষককের তামাক ক্ষেত। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মফিজুর রহমান জানান ৫জানুয়ারি ভোর সকালে উত্তর পশ্চিমের বাঘ ঘোনা নামক পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বাচ্চাসহ ৭ টি বন্য হাতির পাল। হঠাৎ এলাকার লোকজন হাতি দেখে মানুষের মাঝে হৈচৈপড়ে যায়। পাহাড় থেকে লোকালয়ে বন্য হাতি আসার খবরে পুরো গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ার আশপাশের হাজার হাজার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। এসময় বাচ্চাসহ চারটি মাদি(মা) হাতি ও একটি মালা (পুরুষ) হাতি ক্যায়জর বিল এলাকার আজিজুর রহমান,নুরুল ইসলাম,মোতাহের মিয়া, সুবল কান্তি নাথসহ প্রায় ১২ কৃষকের তামাক ক্ষেতে তাড্তব চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দেয়। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি মেম্বার। ইনিয়নের ঘিলাতলী বিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান সকাল থেকে বন্য হাতির দল লোকালয়ে আসার খবর পেয়ে তিনি বন বিভাগের লোকজন নিয়ে ঘটনা স্থলে আসেন। চতুর্পাশে লোক জনের উপস্থিতি দেখে হাতি গুলো যখন দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করছিল তখন এক রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছুটেন। তিনি আরো জনান
ওই এলাকায় বন্য হাতি ঢুকে পড়লে মানুষের বিরক্তিকর আচরণের কারনে হাতির পাল ফিরতে পারছিল না। খবর পেয়ে গূজনিয়া পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন এ এস আই গোলাম মুস্তাফার নেতৃত্বে দুপুরে এক দল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং কোন ধরণের প্রাণ হানি থেকে রক্ষা পায় এলাকাবাসী। এ হাতির পাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একটি পাহাড়ের নিচে বিভিন্ন তামাক ক্ষেতে ছিল। বিকালে পুলিশ, বন বিভাগ ও স্থনীয় লোকজন তিন পাশে ঘিরে পশ্চিমের পাহাড়ের দিকে তাড়িয়ে দেয়। তখন থেকে আতংকিত মানুষের মাঝে স্বস্তি পিরে আসে। স্থানীয়রা প্রাণ হানি থেকে রক্ষা পাওয়ায় পুলিশ এ বন বিভাগকে সাধুবাদ জানান। এ বিষয়ে রামু বাঁকখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা এলাহী জানান বন নিধনের কারণে বন্য হাতি খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।