বাংলাট্রিবিউন : সোমবার বিকালে সড়কপথে সিলেট নগরীতে পৌঁছানোর দু’ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মাজারে প্রবেশ করার সময়ই মাগরিবের আজান হওয়ায় তিনি সেখানেই নামাজ আদায় করেন।
এরপর কিছুক্ষণ দোয়া-দরুদ পড়ে মোনাজাত করেন। মুফতি নেহাল উদ্দিন মিলাদ পড়ান। মাজারের খাদেম কবির এসময় মোনাজাত পড়ান।
দলের নেতাদের অভিযোগ, খালেদা জিয়া সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। কোথাও আইনশৃঙ্খলবাহিনীর সদস্যরা, কোথাও সরকারি দলের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়।
মাজার জিয়ারতের সময় সফরসঙ্গী বিএনপি নেতারা মাজার অবস্থান করলেও ভেতরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুধু দলের নারী কর্মীরাই উপস্থিত ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা পর্যন্ত শাহজালালের মাজারের সামনে ও পেছনে হাজার-হাজার নেতাকর্মী উপস্থিতি ছিলেন।
এর আগে, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে খালেদা জিয়া সিলেট সার্কিট হাউজে প্রবেশ করেন। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আছরের নামাজ আদায় করেন। পরে দুপুরের খাবার খেয়ে সাড়ে পাঁচটার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারতে যান।
বিএনপি চেয়ারপারসন সোমবার সকাল সোয়া নয়টায় রাজধানী ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা দিয়ে বিকাল ৪টায় সিলেট পৌঁছান তিনি। সুরমা নদীতে স্থাপিত হুমায়ুন রশীদ সেতু দিয়ে সিলেটে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। বিকাল সাড়ে ৩টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় পৌঁছালে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ইত্যাদি নিয়ে অভ্যর্থনা জানান তারা। যদিও খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে পথে পথে দলের নেতাকর্মীরা বাধার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিশ্বরোডের অংশ পার হওয়ার পর থেকে সরাইল, শাহবাজপুর, বুধন্তী, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর, নোয়াপাড়া, শায়েস্তাগঞ্জ নতুন বাজার, বিশ্বনাথ পর্যন্ত স্থানে-স্থানে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে বাধা দিতে দেখা গেছে।
বাংলা ট্রিবিউন হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জানান, শায়েস্তাগঞ্জ নতুন বাজার মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মঞ্চ তৈরি করলেও তা পুলিশের উপস্থিতিতেই ভেঙে দেওয়া হয়। চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদল নেতা আবদুল মান্নান রুমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশের বাধায় আমাদের প্রস্তুতি থাকলে ম্যাডামকে আমরা ভালোভাবে অভিনন্দন জানাতে পারিনি।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন জানান, ‘হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হলেও পুলিশ বাধা দিয়েছে।’
তার সফরসঙ্গী বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, দোয়ার পরেই ম্যাডাম হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর মাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।