পৃথক ঘটনায় টমটম চালককে জবাই ও অপরজন গুলিবিদ্ধ

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে পৃথক ঘটনায় মোর্শেদ আলম নামের টমটম চালককে জবাই ও ইলিয়াস নামের অপর একজনকে গুলিবিদ্ধ করে খুনের চেষ্টা করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ুডাকাতদল। আহত টমটম চালক মোর্শেদকে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের খামার পাড়াস্থ বিসিক সংলগ্ন খালের পাড়ে থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলেও অবস্থার অবনতি ঘটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে তার পিতা ছৈয়দ আলম জানিয়েছে। অপরজন গুলিবিদ্ধ যুবক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একের পর এক ঘটনায় পুরো ঈদগাঁওর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। রবিবার ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ও গভীর রাতে পৃথক এ ঘটনাদ্বয় ঘটে। আহত সূত্রে জানা যায়, ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়া ঘোনা শিয়া পাড়া গ্রামের ছৈয়দ আলমের ছেলে টমটম চালক মোর্শেদ (২০)কে ঈদগাঁও থেকে চৌফলদন্ডী মিয়া বাজারে আসা যাওয়ার জন্য ৪শ টাকায় ভাড়া করে আরেক টমটম চালক তার পাশর্^বর্তী গ্রামের জয়নাল। পৌনে ৯টার দিকে খামার পাড়াস্থ বিসিক এলাকায় নিয়ে উপর্যুপরী পিছন দিক থেকে দায়ের কোপে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে এবং পায়েও আঘাত করে। তবে ঘটনায় ৩/৪জন থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত ভেবে পাশর্^বর্তী খালে ফেলে দিলেও মোর্শেদ পানি থেকে উঠে রাস্তায় পৌছলে এক সিএনজি চালক ও চৌকিদার তাকে ঈদগাঁওতে নিয়ে আসে। কিন্তু দূর্ভাগ্য, ডিসি সড়কের মেরামতের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় তাকে হেটে হেটে ঈদগাঁওর কথিত মডেল হাসপাতালের নিচে প্রায় ঘন্টা খানেক ফেলে রাখলেও কোন ডাক্তার এক মুহুর্তের জন্যও তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেনি। সচেতন মহলের প্রশ্ন, শুধু কি সুস্থ মানুষদেরকে হাসপাতাল অসুস্থে পরিণত করে? তা না হলে কোন ঐ যুবকের জন্য এগিয়ে আসেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? কয়েক শতাধিক লোক দেখা যায়, শুধু ছবি তুলে মুমুর্ষ এ মোর্শেদকে ফেইসবুকে প্রচার করতে ব্যস্ত। ঈদগাঁও পুলিশের সাহসী এক এএসআই লিটনুর রহমান জয় একাই কুলে নিয়ে টমটম যোগে বাসস্টেশনে নিয়ে যায় এবং সদর হাসপাতালে প্রেরণের যাবতীয় সাহায্য করে। পরে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীসহ ২/৩ জনের সহযোগিতায় সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানেও তার চিকিৎসা চলছে। মামলা না হলেও ঘাতকের স্ত্রীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। অন্যদিকে পৃথক ঘটনায় রাতেই ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেহেরঘোনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শফিকের ছেলে ইলিয়াছ। তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি ঈদগাঁওতে ডাকাতি, খুনসহ নানা অপকর্ম বেড়েই চলছে। ফলে ঈদগাঁওর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।