বিশেষ প্রতিবেদক:
চকরিয়ার উপজেলার উপকূলীয় এলাকার বদরখালী ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক সম্প্রসারনের নামে গাছ কাটার মহোৎসব চলছে। দা- কুড়াল ও করাত দিয়ে একের পর এক গাছ কর্তন করায় প্রকৃতি বিপর্য়স্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন এসব সৃজিত গাছ কর্তনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
স্থানিয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান খাইরুল বশর সড়ক সম্প্রসারণ ও মাটি দেওয়ার নামে গাছ কর্তনে খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হতবাক। এ যেন লুটের ঘর।
উপজেলার বদরখালী ফেরীঘাট এলাকার উত্তরপ্রান্ত সড়ক থেকে আল আজহার উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক পর্যন্ত চলছে গাছ কাটা। গতকাল সরজমিন দেখা গেছে, উল্লোখিত সড়কের দু-পাশের গাছ কর্তন করা হলেও প্রশাসন যেন নির্বিকার। কর্তনকৃত গাছের মধ্যে অনেক পুরোনো গাছও রয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিরামহীন চলছে গাছ কাটা। প্রায় ৪’শতাধিক মতো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার সাথে জড়িত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাছ গুলো কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। তাই এসব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। রাস্তা বড় করার জন্য এসব গাছ কর্তন করা হচ্ছে বলে শ্রমিকরা জানান। স্থানিয় করিমুল হাসান (ছন্মনাম) বলেন, শুত্রুতা থাকলে মানুষে মানুষে কিন্তু গাছের সাথে এ কেমন শুত্রুতা! গাছের চারা গুলো রোপন করা হয়েছিল এলাকাবাসীর স¦ার্থে।
এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন, যে সব গাছ ঝূুঁকিটপূর্ণ অবস্থায় আছে তা কেটে ফেলা হচ্ছে সড়ক সম্প্রসারনের জন্য।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নুরুউদ্দিন মো: শিবলী নোমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে তিনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলবে বলেও জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।