মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়া গ্রামের এক অসহায় ব্যক্তির বসতঘর মাত্র ৩০ মিনিটেই ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় কথিত প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের সময় দাড়িয়ে কেঁদে কেঁদে দেখছিল বাড়ির মালিক ছাবের আহমদের স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৫)। এসময় তাদের হামলায় দিলদার বেগমসহ ৪জন আহত হয়েছে। আহত দিলদার বেগম সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ণিত এলাকায়। ২ ফেব্রুয়ারী সাড়ে ১২টার দিকে যখন এলাকাবাসী জুমার নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদের দিকে যাচ্ছিল ঠিক সে মুহুর্তে ভাঙচুর আরম্ভ হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঐ এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার পত্র নুুরুল ইসলাম (৪২) তার সৎ ভাই-বোনদের জায়গাটি দখলে নিতে একাধিক বার হানা দিয়েও ব্যর্থ হয়। ছাবের আহমদ তার বসতঘরটি দখলের প্রস্তুতির খবর জানতে পেরে ৩১ জানুয়ারী কক্সবাজার মডেল থানায় নুুরুল ইসলামকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মহিউদ্দীনের নিকট তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার পরপরই এএসআই মহি উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে চলে আসে। ইতিপূর্বেও একই অভিযোগটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবরও দেয়া হয়েছে। ঘটনার রাতেই ইউপি সদস্য, প্যানেল চেয়ারম্যান বজল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বসতঘর ভাঙচুর, লুটপাটের সময় ঘটনার মূল হোতা নুরুল ইসলামের হাতে বারবার দেখা যায় ধারালো একটি দা। তবে পুরো ভাঙচুর ও লুটপাট মাত্র ৩০ মিনিটেই শেষ। সংঘটিত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বসতঘর মালিক ছাবের আহমদ জানান, তার বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে স্বর্ণ, টাকাসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ভাঙচুরকারীরা।