সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা :
টেকনাফে নাফনদীতে মাছ শিকাররত বাংলাদেশী জেলেদের উপর গুলিবর্ষণ করেছে। এতে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হলেও ৫ জেলেকে অপহরণ করেছে। বিজিবি অপহৃত জেলেদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে।
জানা যায়,শনিবার সকাল সাড়ে ৮টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং কাঞ্জরপাড়া সংলগ্ন নাফনদীর পয়েন্ট দিয়ে একদল জেলে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) শীলখালী ঘাঁটির একটি বিশেষ টহল দল স্পীডবোট নিয়ে এসে বাংলাদেশী জেলেদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। এসময় বাংলাদেশ সীমান্তে চরজালে মাছ ধরারত কাঞ্জর পাড়ার ফকির মোহাম্মদের পুত্র নুরুল ইসলাম (৩৫) এর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। এরপর বিজিপি সদস্যরা স্থানীয় আব্দুল গফুরের পুত্র আজিজুল্লাহ, মৃত আব্দুল শুক্কুরের পুত্র ইয়ার মোহাম্মদ, মৃত নুরুল আলমের পুত্র শাহ আলম, আব্বাসের পুত্র মোঃ রফিক ও আব্দুল জলিলের পুত্র পেটান আলীকে নৌকা-জালসহ অপহরণ করে নিয়ে যায়। তখন গুলিবিদ্ধ জেলের অপর সহযোগীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কাঞ্জর পাড়া বাজারে নিয়ে আসে। তাকে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে অপহৃত ৫ জেলে পরিবারের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। নাফনদীতে মাছ শিকারে গিয়ে বিজিপির গুলিতে ১ জেলে গুলিবিদ্ধ ও অপর ৫ জেলে অহরণের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন স্থানীয় মেম্বার আব্দুল গাফ্ফার।
এই ব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, নাফনদীতে মাছ শিকার বন্ধ করা হলেও জেলেরা চুরি করে জলসীমা অতিক্রম করায় এই ঘটনার সুত্রপাত। তবে অপহৃত জেলেদের ফিরে আনার চেষ্টা চলছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।