সিবিএন রিপোর্ট :
কক্স-টুডে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয়। কক্স-টুডে ইস্যুতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট জয় তার ফেইসবুকে নিজের বক্তব্য ও অবস্থান জানিয়েছেন।
কক্স-টুডে ইস্যুতে ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয়ের বক্তব্য হলো সিবিএন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল :
কক্সটুডে হোটেলের মিথ্যাচার এবং আমার বক্তব্য
গত ৩১/০১/২০১৮ খ্রি. তারিখে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ প্রমাপ অনুযায়ী সপ্তাহে সপ্তাহে জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে মোবাইল কোর্ট সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করে থাকেন। নিয়ম অনুসারে আমি নিজে, জেলা প্রশাষনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব সাইফুল আশ্রাব, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব সুলতান মাহমুদ মিলন ও জেলা স্যানেটারী পরিদর্শক ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, কক্সবাজার জেলা জনাব তরুণ বড়ুয়াকে নিয়ে গত ৩১/০১/২০১৮ খ্রি. তারিখ হোটেল কক্স টুডে তে স্থিত রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। যে কোন রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে নিম্ন বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
১) ভোক্তাদের নজরে আনার জন্য খাবারের মূল্য তালিকা টাংগানো আছে কিনা;
২) একই ফ্র্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা হয় কিনা:
৩) রান্নাঘরের নিকটে আবর্জনা স্তুপ রয়েছে কিনা:
৪) নিষিদ্ধ পলিথিনে খাবার মুড়িয়ে রাখে কিনা:
উল্লিখিত ৪টি ক্যাটাগরিতে হোটেল কক্স টুডে কর্তৃপক্ষ কোনটি পূরণ না করায় এবং একই সাথে বস্তা ভরে নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ রাখা(নিচে জব্দ তালিকা যুক্ত করা হল) ও দীর্ঘ দিনের পুরাতন স্যুপ ফ্রিজে রাখা প্রভৃতি অনিয়ম পাওয়া যায়। এই সব অনিয়মের দায়ে ভবিষ্যতে ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনা নিরিখে হোটেল কক্স টুডে কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ এর ৬(ক), ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৯, ৪৩ ধারা লংঘন করায় এবং একই আইনের দোষ স্বীকারোক্তি ভিত্তিতে ১(এক) লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এতে আমার কোনরূপ ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত নয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ জরিমানার টাকা পরিশোধ করে এবং ভবিষ্যতে ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনার মাথায় রেখে আরো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার বিষয়ে ভ্রম্যমান আদালতকে অংগীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থণা করেন। যার স্ক্যান কপি যুক্ত করা হল।
কিন্তু দু:খের বিষয়, হোটেল কক্স টুডে কর্তৃপক্ষ পরের দিন সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গোলঘর উদ্বোধনকালে ৩৫ হাজার টাকা বকেয়া বিল পরিশোধের জের ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মর্মে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে। এছাড়া আমাকে হেয় করে মানহানিকর ও আপত্তি সংবাদ পরিবেশন করা হয়। প্রকৃতপক্ষে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সাথে জেলা প্রশাসনের ৩৫ হাজার টাকার বকেয়া বিলের সাথে কোনরূপ সম্পর্ক নাই। এটি হোটেল কর্তৃপক্ষ মোবাইল কোর্টকে চ্যালেঞ্জ সামিল করার সামিল।
জেলা প্রশাসনের নিকট যে কোন ধরনের প্রাপ্ত বিল যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষকেও যথাসময়ে বিল পাশ হলে চেকের মাধ্যমে বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হবে। এটি কোন ব্যক্তিগত বিল নয়। এটি জেলা প্রশনের বিল অথচ বকেয়া বিলের বিষয় উত্থাপন করে হোটেল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের বিরাজমান সুনামকে পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে যা দু:খজনক।
হোটেল কক্স টুডে কর্তৃপক্ষের দেয়া সংবাদ পাঠে বিভ্রান্ত না হওযার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
(মো: সাইফুল ইসলাম)
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কক্সবাজার
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।