মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :
কক্সবাজার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দীন বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকল পরীক্ষার্থীকে সমান চোখে দেখতে হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার হলে স্মার্ট ফোন আনা যাবে না। সাধারণ মানের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে হবে। তিনি ৩১শে জানুয়ারী দুপুরে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এক মত বিনিময় সভায় দিক নির্দেশনামূলক মূল বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সমাপনী বক্তব্য দেন স্বাগতিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জান্নাত। সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ মত বিনিময়ে আলোচনায় অংশ নেন ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা হেফাজতুর রহমান নদভী, ইছাখালী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নুরুল আলম আখতারী, নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শহিদুল হক, পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম, নাইক্ষ্যংদিয়া এস.টি দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ফজলুল হক, ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক মমতাজ সাঈদা আজিম। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খোদাইবাড়ী এ.জি লুৎফুল কবির আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন, ভারুয়াখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন, চৌফলদন্ডী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান, পালাকাটা গোলজার বেগম দাখিল মাদ্রাসা সুপার আনিছ মো. আবদুল্লাহ, গোমাতলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবদুল জলিল প্রমুখ। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরো বলেন, কোন পরীক্ষার্থীকে মানসিকভাবে হয়রানি করা যাবে না। পরীক্ষা চলাকালে কোচিং ও প্রাইভেট বন্ধ রাখতে হবে। পুরো দেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ ও বিশেষ সুবিধা সম্পন্নদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক থাকতে হবে। বিষয় শিক্ষকদের পরীক্ষার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। কাজে কর্মে ও কথাবার্তায় পেশাগত শিক্ষকের আচরণ দেখাতে হবে। তিনি যে কোন শিক্ষককে নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের কক্ষে দায়িত্ব দেয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। খোলামেলা বক্তব্যে বক্তারা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকা, যথাসময়ে দাযিত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কক্ষে প্রবেশ করা, কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি করা, নৈতিকতাবোধ নিয়ে দায়িত্ব পালন, অর্পিত দায়িত্বকে আমানত হিসেবে মনে করা, পরীক্ষা কক্ষের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দরভাবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, কক্ষ পর্যবেক্ষকদের আন্তরিকত সহযোগিতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠান সম্ভব। শিক্ষকদের মধ্যকার দলাদলি যেন কোন পরীক্ষার্থীর উপর প্রভাব ফেলতে না পারে সে ব্যাপরে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি। এছাড়া নিজ নিজ স্কুলের ড্রেস পরিধান করে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে বলেন তিনি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্বাগতিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. ইবরাহীম। এতে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা ও ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন। উল্লেখ্য, কক্স-২ তথা ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন অত্র বিদ্যালয় অফিস সহকারী শামসুল আলম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।