শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের আলোর পথ দেখাতে কাজ করছেন : জাফর আলম


এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া

“দায়িত্বশীল নাগরিক হব, বৈষম্য ও সহিংসতামুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করব” স্লোগানে চকরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তরুণ আলো প্রকল্প ইলমা চকরিয়ার সহযোগিতায় বার্ষিক ক্রীড়া,সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা,অভিভাবক সমাবেশ ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল মালেক ও নরেশ রুদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তরুন আলো প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফোরকান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ সিরাজ উদ্দিন আহমদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ওয়াহেদ উদ্দিন ইবনু, তরুণ আলোর কর্মকর্তা আদিলুর রহমান, জাহিদুর রহমান,হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মাঝে দক্ষ নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে পারলে আগামীর বাংলাদেশে আলোকিত মানুষ দেখতে পাব। আর তরুণরাই আলোকিত মানুষ হয়ে একদিন জাতিকে সোনার বাংলাদেশ উপহার দেবে। কারণ বর্তমান সরকার তরুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে আলোর পথ দেখাতে কাজ করছেন। সেই লক্ষ্যে সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষাখাতে অগ্রগতি এবং দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীতে সব ধরণের কর্মসুচি হাতে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে কিছু কিছু তরুণ পথভ্রষ্ট হয়ে উগ্রবাদ ও সহিংসতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষক ও অভিভাবকরা সচেতন এবং দায়িত্ববান ভুমিকা পালন করলে তরুনরা কোনদিন পদভ্রষ্ট হতে পারবেনা। বর্তমান সরকারও এই বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে তরুন প্রজন্মকে সুশিক্ষিার মাধ্যমে সঠিক পথে জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হয়। এই কাজটির জন্য প্রতিটি পরিবারের মা বাবাকে তার সন্তানের প্রতি আরো বেশি যতœশীল ও সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি,দেশাত্ববোধক গান ও পল্লীগীতি, লোকগীতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সবশেষে বার্ষিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের জন্য তাদের মা’দের অনুপ্রেরণামূলক সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।