পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপে অকটেনের ড্রাম কাটা দেখতে গিয়ে প্রাণ হারাল বারবাকিয়া ইউনিয়নের সবজীবন পাড়া এলাকার মোঃ কালুর ছেলে মোঃ হারুনুর রশিদ (২৮)। তিনি পেকুয়া বাজারের নঈমের মালিকনাধীন দোকানের কর্মচারী। ওই সময় আজিজুৃর রহমান নামের এক কিশোরও আহত হয়। সোমবার (২৯জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম অংশে হোসাইন ওয়ার্কশপে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসীর দাবী, পেকুয়া বাজারের বিভিন্ন দোকানে খালি ড্রাম রয়েছে অহরহ। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় ড্রামগুলো গ্যাসে পরিণত হয়। ঠিক ওই রকম একটি ড্রাম মো: আশিকের মালিকনাধীন হোছাইন ওয়ার্কশপে কাটার জন্য দেন পাশর্^বর্তি আরেকটি দোকানের মালিক। যা কাটতে গিয়ে দূর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী ও পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার ৩বছরের এক সন্তান ও স্ত্রীর গর্ভে রয়েছে অনাগত সন্তান। পরিবারে এক মাত্র উপার্জন ব্যক্তি হওয়ায় পিতা মাতাও অসহায় হয়ে পড়েছেন।
পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, বরইতলি মগনামা সড়ক ঘেঁষে পেকুয়া বাজারে বেশ কয়েকটি ওয়ার্কশপে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে তেলের বাতিল ড্রাম ও মেয়াদ বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার কাটা হতো। সোমবার দুপুরে অকটেনের একটি ড্রাম কাটার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, তেলের (অকটেন) একটি ড্রাম কাটতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় অকটেনের ড্রামটি গ্যাসপূর্ণ হয়ে বিষ্ফোরিত হয়। ড্রামের একটি অংশ ছিটকে ওই দর্শনার্থী যুবকের বুকে এবং গলায় বিধে প্রাণহানি ঘটে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।