শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাজাস্থ এলাকায় দেবরের হাতে বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাঞ্চিত ও গুরুত্বর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন সদর এলাকায়।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, বাইশারী সদর এলাকার মৃত আব্দুল জাব্বারের বড় ছেলে রশিদ আহাম্মদ মেঝ ছেলে মোক্তার আহাম্দ ও ছোট ছেলে কবির আহম্মদ। এই তিন ভাইয়ের মাঝে বড় ভাই মানসিক রোগাক্রান্ত হওয়ায় পৈত্রিক সম্পতি থেকে বঞ্চিত করতে চাই ছোট ভাই কবির আহাম্দ। আর এদিকে দীর্ঘদিন যাবত পৈত্রিক সম্পত্তি (জমি) সংক্রান্ত নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিল তিন ভাইয়ের মধ্যে। এই বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের স্ত্রী জমি চাষে বাধা দিলে এক পর্যায়ে কথা-কাটাকাটিতে ক্ষীপ্ত হয়ে বড় ভাই রশিদ আহমদের স্ত্রী সাদেকা খানম (৩৫) এর উপর অতর্কিতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং পরে টানা হেঁচড়া করে কাদাঁ মাটিতে চেপে ধরে দেবর কবির আহাম্মদ। বেধড়ক মারপিট আর কাঁদাতে চেপে ধরা সয্য করতে না পারায় শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আশংকাজনক অবস্থায় রক্ষা করে। তবে ভাবী সাদেকাকে বেধড়ক মারপিটের গুরুত্বর জখম হওয়ায় অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে ভাবীর অবস্থা আশংক দেখে দেবর কবির আহাম্মদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আহত সাদেকাকে তাৎক্ষুনিক স্থানীয় সাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সে খানে কর্মরত চিকিৎসক গুরুত্বর জখম দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মমতাজ আহমদ জানান, দেবর কবির আহমদ গোলডেবা নামক জায়গায় বিরোধীয় জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে, তাতে খবর পেয়ে তার বড় ভাই রশিদ আহমদের স্ত্রী বাঁধা দেয়। এতে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি পরে মারপিট করে। সে এসময় মারপিটের আঘাতে শোর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ভাবীর সাদেকা কাঁদা মাটিতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে নেই এলাকাবাসী।
মেঝ ভাই মোক্তার আহমদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে পিতার নামীয় জমি আমাকেসহ বড় ভাইয়ের অংশ থেকে বঞ্চিত করে এবং জোর পূর্বক চাষ করে দখল করার চেষ্টা চালায় ছোট ভাই কবির আহাম্মদ। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করলেও কবির আহাম্মদ মানতে নারাজ। সে বিচারকদের সিদ্ধান্ত না মেনে জমিতে চাষ করার চেষ্টা করলে বড় ভাবী বাঁধা দেয়। এতে অনাঙ্খকিত ঘটনা ঘটে যায়।
বড় ভাই রশিদ আহমদ জানান, পূর্বেও আমার পিতার নামীয় জমি দাবী করায় মার ধরের শিকার হতে হয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা। কবির আহাম্মদকে আইনের আওতায় নিতে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো: আবু মুসা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।