নুরুল হোসাইন, টেকনাফ :
সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে অংশ নেওয়া এবারের এসএসসি এক পরিক্ষার্থী বিয়ে হতে যাচ্ছে এবং পরিক্ষা শুরুর আগে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছে। ২৭ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উজ্জল ভৌমিক এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে দ্বীপ এলাকায় তোলপাড় চলছে।
জানা যায়, সেন্টমার্টিনদ্বীপ দক্ষিণপাড়া আমিনুল্লাহ ও হামিদা বেগমের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (১৭) সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্রী ছিল। ১ ফেব্রুয়ারী থেকে অনুষ্টিতব্য এবারের এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নিতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। পরিবারের আর্থিক দৈন্যতার কারণে দয়াপরবশঃ হয়ে সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ অসহায় গরীব একজন নিয়মিত ছাত্রীর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পরিক্ষার ফি এবং খরচ নিজেই বহন করেছিলেন। ২৭ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উজ্জল ভৌমিক বলেন ‘এসএসসি পরিক্ষা অতি সন্নিকটে হওয়ায় পরিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে পরিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার (জন্ম তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর ২০০০ ইংরেজী) পরিক্ষার প্রস্তুতির জন্য টেকনাফে অবস্থান করছিল। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। ২৬ জানুয়ারী বিকাল থেকে আর হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। বাবা-মা এব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারছেননা। বিষয়টি সাথে সাথে সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিককে অবহিত করা হয়েছে’। সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ বলেন ‘বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সম্ভবতঃ অভিভাবকরা বিয়ে দেয়ার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে’।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।