মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আনা-গোনা ও গোপন তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে আশংকাজনক হারে। বিশেষ করে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি পল্লী গুলোতে এ তৎপরতায় অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ যখন হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছিল। ঠিক তখনি নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবির অধিনায়কের নির্দেশে জোয়ানরা অভিযানে নামে এ সব চাদাঁবাজ ও অস্ত্রধারীদের শায়েস্তা করতে। তারই ধারাবাহিততায় শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ২৮ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে ভাইচাং ত্রিপুরা পাড়ায় গোপন বৈঠক করার সময় ৬ ত্রিপুরাকে আটক করে। বহিরাগত এ সব লোক পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সদস্য বলে ধারণা করছেন আইন-শৃংখলা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জেএসএসের সদস্য বলে স্বীকার করেন আইন-শৃংখলাকে।
নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম বলেন, সীমান্তের এ উপজেলাটির পাহাড়ি পল্লীতে দীর্ঘদিন থেকে সন্ত্রাসীদের আনা গোনা ছিল। পরিবেশ বুঝে এখনও আসে। তবে দূর্গম ও গহীন বন হওয়ায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসীরা মাঝে-মধ্যে পালিয়ে যেতেও সক্ষম হলেও অধিকাংশ অভিযানে বিজিবির জালে আটকে যায় তারা। গত শুক্রবার বিকেলে অভিযানটিও ছিল তারই একটি।
তিনি আরো জানান, আটক ৬ ত্রিপুরা ভাইচাং ত্রিপুরা গ্রামের অভিরাম ত্রিপুরার বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে গোপন বৈঠক করার খবর পেয়ে বিজিবি অভিযানে নামে। আটককৃতরা হলো: আব্রাহাম ত্রিপুরা(৪২),অনাচন্দ্র ত্রিপুরা(২৯)মোথিরাম ত্রিপুরা (৪০) গুনমনি ত্রিপুরা (৪৮)মিন্ট চন্দ্র ত্রিপুরা (৪০) ও জয় চন্দ্র ত্রিপুরা। তাদের সকলে বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে দেড় শত কিলোমিটার দূরের বান্দরবানের থানছি উপজেলার বাদুনিয়া পাড়ায়্। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের কয়েকটি দামী মোবাইল সেট,সোনালী ব্যাংকের চেক বই ২টি এবং টর্চ লাইট সহ জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।