কক্সবাজারে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে মালয়েশিয়ান পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দল


আহমদ গিয়াস, কক্সবাজার :
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য যৌথভাবে গবেষণা ছাড়াও নিজ নিজ দেশের গবেষণালব্দ প্রযুক্তি বিনিময় করছেন দুই দেশের বিজ্ঞানীরা। এরই অংশ হিসাবে মালয়েশিয়ান বিজ্ঞানীদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় কক্সবাজারে সিভাসু ক্যাম্পাসে স্থাপিত হচ্ছে ভেটকি বা কোরাল মাছের পোনা উৎপাদন হ্যাচারি এবং একইভাবে নরম খোলসের কাঁকড়া চাষের উপর বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি যে সাফল্য অর্জন করেছেন সেই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে মালয়েশিয়ান বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে দুই দেশের বিজ্ঞানীরা ভেটেরিনারি মেডিসিন বিষয়েও তাঁদের গবেষণালব্দ প্রযুক্তি বিনিময় করবেন। শনিবার মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দা’তিন পাদোকা দা’তো আইনী ইদ্রিস ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরস্থ সিভাসু ক্যাম্পাসে এ তথ্য জানান।
গবেষণা সংক্রান্ত সুবিধা ও কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য গতকাল/আজ শনিবার সকালে ও আগেরদিন বিকালে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউপিএম) একদল প্রতিনিধি কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরস্থ সিভাসু ক্যাম্পাসে আসেন। উপাচার্যের নেতৃত্বাধীন উক্ত প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হায়ার বিন বেজু ও ডেপুটি ডিন ড. জুনিতা জাকারিয়া। এসময় সিভাসুর উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান, প্যাথলজি ও সাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ও ফিশারিজ বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রিদওয়ানুর রহমান।
পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দা’তিন পাদোকা দা’তো আইনী ইদ্রিস শনিবার সিভাসু ক্যাম্পাস পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশা করেন, গবেষণা প্রযুক্তি বিনিময়ের মাধ্যমে দুটি দেশই লাভবান হবে।
সিভাসুর উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, গত বছর অক্টোবরে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় সিভাসুর শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পুত্রা’র শিক্ষার্থী ও গবেষকরা সিভাসুতে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবে।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীরা ভেটকি চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এ কারণে সেদেশে মৎস্য উৎপাদনে ভেটকির একক অবদান সর্বাধিক। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার পানি ও আবহাওয়া ভেটকি চাষের উপযুক্ত হলেও পোনা সংকটের কারণে এখানে চাষটি বিস্তৃতি লাভ করেনি। কিন্তু এ চাষের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগামী জুনের পর কক্সবাজার ক্যাম্পাসে ভেটকি চাষের বিষয়ে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়। এর পাশাপাশি দেশের প্রাণি সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে যৌথ গবেষণা ও প্রযুক্তি বিনিময় হবে মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। এরই অংশ হিসাবে ইউপিএম প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর বলে জানান তিনি।