নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ ৯জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের রমিজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহতেরা হলেন, একই এলাকার জমির হোছেন(৩৮), আকতার আহমদ(৩৫), জাকের হোছেন(৩২), নাহিদা আাকতার পাখি (২৬), মৌলভী পাড়া এলাকার খালেদা বেগম(২৫), আমির হোছাইন(৩৩), আবদুল গণি(২৯), আহমদ হোছাইন(৭০), শাহনেওয়াজ(৪৪)। আহত জমির হোছেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত আকতার আহমদ বলেন, বিরোধীয় জমির বৈধ মালিক আমরা। দখলও আমাদের। একের পর এক মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করছে আহমদ হোছেন গং। ঘটনার দিন দুপুরে মৌলভী পাড়া থেকে রমিজপাড়ায় এসে মোঃ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে আহমদ হোছাইন, নেজাম উদ্দিন, আমির হোছাইন, মনির, নুরুল হোসেন, আবদুল গণি ও শাহনেওয়াজ সহ ১৫/২০ জনের একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী আমাদের দীর্ঘদিনের দখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। আমরা বাঁধা প্রদান করলে তাদের উপর্যপুরী হামলায় আমরা ৪জন গুরুতর আহত হই। এরমধ্যে আমার ভাই জমির হোছেন মারাত্মক আহত হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এছাড়াও তারা আমার কাছ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এক পক্ষের আহত আহমদ হোছাইন বলেন, রমিজপাড়া এলাকায় ক্রয়সূত্রে ১৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষবাদ করে আসছিলাম। আর এ জবর জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল জমির হোছেন ও আকতার আহমদ গং। বিরোধের কারণে তাদেরকে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। বর্তমানে তা পেকুয়া থানায় তদন্তাধীন আছে। এরই মাঝে দুপুরে আকতার আহমদ গং ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এতে সংঘর্ষে আমরা ৪জন আহত হই।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, এখনো কোন পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।