হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
টেকনাফ উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এতে রোহিঙ্গা সমস্যা, ইয়াবা ও নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্দ, হ্নীলা ও টেকনাফে যানজট নিয়ে প্রানবন্ত আলোচনা হয়েছে।

২২ জানুয়ারী সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্টিত হয়। সভা দু’টির সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিক।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ বলেন ‘বর্তমানে টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা চোরাচালান এবং খুচরা বিক্রেতা ও সেবনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের সংখ্যা গ্রামাঞ্চলে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। উপকুলীয় ঘাট দিয়ে নিয়মিত লক্ষ লক্ষ পিস ইয়াবা খালাস হচ্ছে। ইয়াবা মামলায় কোন আসামী না থাকা ও জড়িতদের পলাতক আসামী না করায় টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা চোরাচালান বন্দ হচ্ছেনা। বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাম পুলিশ, মেম্বার, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেয়র যৌথভাবে নিরপেক্ষভাবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ তালিকা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করতে হবে। বর্তমানে রোহিঙ্গা ইস্যু ভয়াবহ এবং ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এটি এখন জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে’। তিনি আরও বলেন ‘বর্তমানে পর্যটন মৌসুম চলছে। দেশী-বিদেশী পর্যটক, ভিআইপি, শিক্ষার্থী টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনদ্বীপ ভ্রমণে আসছেন। টেকনাফের বদনাম যাতে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন এবং যেকোন মুল্যে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল রাখতে হবে’। তিনি এব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে জনপ্রতিনিধি এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ রফিক উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিস তাহেরা আক্তার মিলি, হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন, হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান প্যানেল-১ আবুল হোসেন মেম্বার, টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান প্যানেল-১ মোঃ আবদুল্লাহ মেম্বার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুমন বড়–য়া, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ আফসার উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ এমদাদ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোঃ আলমগীর কবির, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী শাহপরীরদ্বীপ স্টেশনের এমএ আক্তার, টেকনাফ মডেল থানার ওসি অপারেশন শফিউল আজম, সদর বিওপির সুবেদার ইব্রাহীম হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দেবাষীশ চাকমা, আনসার-ভিডিপি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হ্লাম্যাছা, কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সোনা আলী, আলহাজ্ব জহির হোসেন এমএ, আবুল কালাম, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মিনারুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ :

সভায় সকল বক্তাই জোরালো ভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে শাহপরীরদ্বীপ থেকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলে, জেলে পরিবার এবং ভোক্তা সাধারণের সমস্যার কথা তুলে ধরেন বলেন ‘বর্তমানে গরীব অসহায় জেলে পরিবারগুলোতে হাহাকার চলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। অপরাধ প্রবণতাও বাড়ার আশংকা রয়েছে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন ইয়াবা চোরাচালানীদের জন্য সকলের মাছ শিকার বন্দ করা যুক্তিসঙ্গত হতে পারেনা। তাঁরা নাফ নদীতে জেলেদের মাছ শিকার বন্ধের উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার অথবা জেলে পরিবার গুলোকে উপযুক্ত রেশনের আওতায় আনার দাবি জানান। সভা চলাকালে বাইরে নাফ নদী নির্ভর শত শত জেলে জমায়েত হয়। সভা শেষে জেলেরা স্মারকলিপি প্রদান করেন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ এমদাদ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোঃ আলমগীর কবির এসময় উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে তাঁদের সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিক বলেন ‘নাফ নদী নির্ভর ১ হাজার ১৪৩ জন জেলেকে রেশনের আওতায় আনতে কাজ চলছে’।

মগের মুল্লুকে বসবাস :

কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সোনা আলী বলেন ‘আমরা যেন মগের মুল্লুকে বসবাস করছি। ইয়াবা এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বাহানায় নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্দ করা হয়েছে। অথচ লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং ইয়াবার বড় বড় চালান সাগর পথে এসে উপকুলে খালাস হচ্ছে। যারা প্রতিরোধ করার কথা, তারাই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহযোগিতা দিয়ে অবৈধ টাকা কামাই করে যাচ্ছে। দুটির একটিও বন্দ হয়নি। কিন্ত ইয়াবা এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বাহানায় নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্দ করে গরীবের পেঠে লাথি মারা হয়েছে। ইয়াবা আর রোহিঙ্গার জন্য নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্দ করা হল। যে কারণে মাছ শিকার বন্দ তার একটিও বন্দ হয়নি। শ্রেফ বন্দ হয়েছে অসহায় গরীব জেলেদের মাছ শিকার। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারেনা। আমরা কি মগের মুল্লুকে বসবাস করছি’?

কবরস্থানের উপর কটেজ নির্মাণ :

বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন বলেন ‘বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামে কবরস্থানের উপর প্রভাবশালী এক ব্যক্তি কটেজ নির্মাণ করছে। সরকারী খাস জমির উপর প্রতিষ্টিত কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা তোয়াক্কা না করে কটেজ নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশণার (ভুমি) প্রণয় চাকমার হস্তক্ষেপে কাজ সাময়িক বন্দ থাকলেও জবর দখলকারীরা বিভিন্ন কলাকৌশলে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া ডাকাতিও বৃদ্ধি পেয়েছে’।

রোহিঙ্গাদের কারণে চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি :

হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন ‘রোহিঙ্গাদের কারণে চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোহিঙ্গারা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবাধে সর্বত্র বিচরণ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর পদে পদে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। এমনকি রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করে ওপারে চলে গিয়ে গবাদি পশু ও ইয়াবা নিয়ে আসছে। এভাবে গিয়ে ধরা পড়ে সেদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

হ্নীলা স্টেশনে অবৈধ দোকান ও যানজট :

হ্নীলা স্টেশনের ভয়াবহ যানজট ও অবৈধ দোকানপাটের বিষয়ে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে বলে তুলে ধরেন হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান প্যানেল-১ আবুল হোসেন মেম্বার। তাছাড়া নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্দ থাকায় জেলে ও জেলে পরিবারের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। এনিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়।

লবণ চাষের বাহানায় :

টেকনাফ সদর বিওপির সুবেদার ইব্রাহীম হোসেন শাহপরীরদ্বীপ থেকে হোয়াইক্যং পর্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি’র প্রশংসনীয় তৎপরতা তুলে ধরে মাদক, চোরাচালান, মানব পাচার বন্দে সর্বমহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন ‘সীমান্ত পয়েন্টে রাতের বেলায় আইন শৃংখলা বাহিনী ছাড়া অন্য কারও অবস্থান করার বিধান নেই। কিন্ত দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু লোক অবস্থান করছে। জিজ্ঞাসা করলে জবাব দেয় আমরা লবণ চাষী। অথচ তারা চোরাচালানে লিপ্ত। তাছাড়া বার বার নিষেধ করা সত্বেও জেলেরা নাফ নদীতে বেহুন্দী জাল বসাচ্ছে’।

মগজ ধোলাই :

টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ এমদাদ হোসেন চৌধুরী বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, যুক্তি-প্রমাণ এবং প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। বিশেষতঃ বিষাক্ত মাদকের কবল থেকে শিশুদের রক্ষা করতে এবং মাদকের শেকড় মুলোৎপাটনে মগজ ধোলাই করার প্রয়োজন রয়েছে’। শিক্ষা অফিসারের হৃদয়গ্রাহী ও অত্যন্ত সুন্দর প্রস্তাবনা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করে প্রস্তাব মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সভায় উপস্থিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে শিক্ষকের ১১৬টি পদ শুন্য রয়েছে।

অবৈধ নাচ-গান :

ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ রফিক উদ্দিন বলেন ‘গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন বাহানায় নাচ-গান এবং উচ্চস্বরের ‘এম’ ব্যবহারের কারণে পাশ্ববর্তী মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। টেকনাফ স্টেশন ও হ্নীলা স্টেশনে ভয়াবহ যানজট সর্বসাধারণকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। নাফ নদীতে মাছ শিকার গত কয়েক মাস ধরে বন্দ থাকায় জেলে পরিবারে হাহাকার চলছে। টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার সীমান্ত মনখালী খালের ভয়াবহ ভাঙ্গণের কবলে পড়ে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা ভেঙ্গে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে সেখানে বাঁধ দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। শামলাপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের খেলার মাঠে ভবন করার জন্য মালামাল মজুদ করা হয়েছে’।

শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সমাজের নেতৃত্বে :

আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য আবুল কালাম বলেন ‘শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বর্তমানে সমাজের নেতৃত্বে। আর আমরা যারা প্রতিবাদকারী তারা খুবই অসহায়। বিশেষ করে যখন দেখি মোটর সাইকেল হাঁকিয়ে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী থানা থেকে বের হচ্ছে, তখন সাধারণ মানুষ আতংক বোধ করে। আরও বেশী অসহায় হয়ে পড়ে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে তাদের দহরম মহরমও বেশ লক্ষণীয়। লোক দেখানো অভিযান নয়, আন্তরিকভাবে মাদক-ইয়াবা নির্মুলে অভিযান চালালে তা অবশ্যই বন্দ হবে। প্রয়োজনে এনকাউন্টার করতে হবে’।

দুই সাংবাদিক :

সভায় ২ জন সাংবাদিক ফ্লোর নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা হলেন মোঃ আশেকুল্লাহ ফারুকী এবং গিয়াস উদ্দিন ভুলু। দু’জনই মাদকের কুফল, বন্দ না হওয়ার নেপথ্য, বন্দ করার কৌশল, মালিকবিহীন বড় বড় ইয়াবার চালান আটক নিয়ে অত্যন্ত সুন্দর, গোছালো এবং গঠনমুলক বক্তব্য রাখেন।

তালিকায় নাম আছে কিন্ত করেনা, নাম নেই কিন্ত করে :

টেকনাফ মডেল থানার ওসি অপারেশন শফিউল আজম বলেন ‘উখিয়া ও টেকনাফে বাংলাদেশী নাগরিকদের মোট জনসংখ্যার ৩ গুণ বেশী রোহিঙ্গা। আরও ৫টি ক্যাম্প করার কাজ চলছে। অথচ আমাদের জনবল খুবই সীমিত। আইন শৃংখলা বাহিনী সব সময় সজাগ রয়েছে। টহলও জোরদার করা হয়েছে। ঢালা, প্রধান সড়ক ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে ডাকাতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হবে’। মাদক ও ইয়াবা বিষয়ে দীর্ঘ বক্তব্য শেষে তিনি বলেন ‘এমনও দেখা যাচ্ছে তালিকায় নাম আছে কিন্ত করেনা, নাম নেই কিন্ত করে। আইন শৃংখলা বাহিনী সব সময় জনগণের সেবা দিতে প্রস্তত’।

এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদের সভাপতিত্বে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়। এতে জায়েকা প্রকল্প, দপ্তরওয়ারী বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে ২ জন ইউপি চেয়ারম্যান, কয়েকজন সরকারী অফিসার ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।