শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:
পরিবেশ ধ্বংস করে পাথর আহরণ ও পাচার চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। গহীন অরণ্য বন জঙ্গল বলেই প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ ও পুলিশ কোন রখম খবর পায় না। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা পরিবেশ ধ্বংস করে প্রতিনিয়ত পাথর আহরণ ও পাচার করতে থাকে অনুমোতিপত্র ছাড়াই। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি এলাকা থেকে পাথর বোঝাই ১টি ট্রাকসহ ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় আরো ৭টি পাথর বোঝাই ট্রাক পালিয়ে যায়। তবে আটককৃতরা জব্দকৃত ট্রাকের চালক ও হেলপার কিনা এবং তাদের নাম জানাতে পুলিশ অপারক বলে আটককৃতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি-কাগজিখোলা সড়ক দিয়ে ট্রাক যোগে পাথর পাচারের খবর পেয়ে স্থানীয় বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ওমর ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান চালায় একদল পুলিশ। খবর পেয়ে ৭টি ট্রাক পালিয়ে গেলেও পাথর বোঝাই ট্রাকাট আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ দিন ধরে চকরিয়া উপজেলার তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির সেন্ডিকেটে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে। এসব সেন্ডেকেটে রয়েছেন চকোরিয়ার গিয়াস উদ্দীন, হুমায়ুন চৌধুরী ও ডুলহাজারার ভূট্টো সাওদাগর। এই সেন্ডিকেটের মধ্যে ভূট্টো সাওদাগর শ্রমিকদের নিয়ে উত্তোলনের দায়িত্বে ছিলেন। অন্য দুই জন অর্থ জোগানে ছিলেন। এই সেন্ডিকেটের সদস্যরা বড় অংকের টাকা নিয়ে স্থানীয় এক সরকার দলের নেতা দিয়ে তকদির চলাছে বলেও জানান।
পাথর ভর্তি ট্রাকসহ ব্যক্তি আটকে কথা করে স্বীকার করে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আবু মুসা জানান, অভিযান চালিয়ে পাথর বোঝাই গাড়িটি আটক করা হয়েছে। তবে যে দুই জন শ্রমিক আটক করা হয়েছে তারা এই জব্দ মালের স্বাক্ষী হিসেবে থানায় জিম্মায় আছেন। তবে এদের নাম দেয়া যাবেনা আর জব্দ পাথরের সঠিক মালিকের নাম এখনো পাওয়া যায়নি। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পাথর সহ গাড়ীটি ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।